ঢাকা: বাংলাদেশের যারা উপদেষ্টা বা অন্যান্যরা আছেন তাঁরা কেউ দেশের হাল হকিকত জানেন না। কথা শুনে তো তাই মনে হয়।
নারী নির্যাতন, ধর্ষণ হচ্ছে প্রতিদিন, তবে এই বিষয়ে তেমন কিছুই ওয়াকিবহাল নন নারী উপদেষ্টা। হঠাৎ এসে দুই একটা কথা বলে চলে যান।
দেশে চাল নিয়ে চালবাজি চলছে, জানেন না গভর্নর। তাহলে দেশ চালাচ্ছে কে? খুচরো পয়সার মতো চলছে দেশটা।
অদ্ভুত কথা শোনা গেলো গভর্নরের মুখে।
দেশে চালের দাম কেন বাড়ছে, সেটা আমাদের কাছে এখনো রহস্য বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
তিনি বলেন, ‘চালের দাম এতখানি বাড়া হয়তো উচিত হয়নি বা উচিতের তো ইস্যু না। এটা হয়েছে। এটাই সত্য।’
রাজশাহীর একটি রেস্তোরাঁয় আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এই কথা বলেন।
মতবিনিময় সভার আনুষ্ঠানিক বক্তব্য শেষে মুক্ত আলোচনা শুরুর পর কুষ্টিয়ার এক চালকল মালিক চালের প্রসঙ্গ তোলেন। তিনি বলেন, এখন ধানের দাম বেশি অথচ কৃষকের কাছে কোনো ধান নেই।
গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘চাল কার কাছে আছে? আপনি বলবেন, আপনার কাছে নেই। কৃষক বলবে, তার কাছে নেই। তাহলে থাকবে কার কাছে? আমাদের কাছে, ভোক্তার কাছে?
ভোক্তারা তো এক বছরের চাল কিনবে না। ভোক্তার কাছে তো এক মাসের, ১৫ দিনের বা ১০ দিনের চাল থাকতে পারে। থাকতেই হবে কারো কাছে। হয় আপনাদের কাছে, না হয় কৃষকের কাছে। এটা তো আর আমাকে বোঝানোর দরকার নেই। আমাকে বুঝতে হবে কেন বিষয়টা ধরা যাচ্ছে না।’
সমস্যা সমস্যাই থাকলো, সমাধানের পথ বা সমাধানের কথা কেউ বলে না।
ঢাকায় চিকন চাল প্রতি কেজি আশি থেকে নব্বই টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।কৃষি প্রধান দেশ। মাটি উর্বর।ফলন ভালো হয়েছে।
এদিকে অন্তর্বর্তী সরকার বলছে দেশে পর্যাপ্ত চাল মজুদ আছে। তাহলে চালের এই যে মূল্য বৃদ্ধি এটা হচ্ছে কেন?
সরকার বাজার মনিটরিং করছে না। চালের সিন্ডিকেট ভাঙতে পারছে না। কোনোদিকে নজর নেই।
অসাধু ব্যবসায়ীতে ভরে গেছে দেশ। এদের আইনের আওতায় আনা হয় না। দেখা হয় কেবল আওয়ামী লীগের দিকে।
পররাষ্ট্রনীতি মানেন না ইউনূস। এত স্বার্থ নিয়ে বসে থাকলে দেশ উচ্ছন্নে যাবেই।
বিশ্বের অন্যতম চাল রপ্তানিকারক ভারত ২০২৪ সালে তাদের চাল রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করে। ফলে দক্ষিণ এশিয়া, বিশেষত বাংলাদেশে চালের সরবরাহ কমে যায় এবং দাম বাড়ে।
ভারতের সাথে শত্রুতার ফল হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে বাংলাদেশ।
এদিকে, বড় কিছু মিল মালিক, ব্যবসায়ী কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে চাল মজুদ করে রাখে। এতে সাধারণ মানুষ বেশি দামে চাল কিনতে বাধ্য হয়।
শুধু তাই না, খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ায় গড় পরিবারে খরচ বেড়েছে প্রায় ২০%। একই বেতনে চাল, ডাল, তেল কিনতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ।