ঢাকা: ক্ষমতায় আসার আগেই বিএনপি তাদের আগের রং দেখিয়ে দিচ্ছে।

নির্বাচনের জন্য অস্থির বিএনপি।নির্বাচন দেরি হলে ‘দেশের সমস্যা বাড়বে’ এবং ‘আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হবে’।
তবে দেশে এখন কী হচ্ছে?

যারা নির্বাচনের জন্য, ক্ষমতার জন্য পাগল হয়ে গেছে তারাই তো সন্ত্রাসী কাজ চালাচ্ছে ঠিক আগে যেভাবে চালাতো।

যে কোনো ইস্যুতে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে খুনোখুনি হচ্ছে, দেদারসে চাঁদাবাজি হচ্ছে। কোনটা বাকি আছে তাদের?

পটিয়ার পর প্রশাসন এর উপর আবারো এমন ন্যাক্কারজনক হামলা হয়েছে।

দুটা চাঁদাবাজকে ভ্রাম্যমান আদালত সাজা দিলে এরা থানায় গিয়ে হামলা করার সাহস কোথায় পায়!

লালমনিরহাটে দুই যুবককে চাঁদাবাজির অভিযোগে শাস্তি দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।

তারপর অনুসারীরা লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থানায় আক্রমণ চালায়। দুই চাঁদাবাজকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। দুই চাঁদাবাজের জন্য পুরো থানা লণ্ডভণ্ড করে দেয়।

ভাঙচুর করে। থানা দুষ্কৃতিদের জুলাই থেকে টার্গেট।

চাঁদাবাজদের জন্য পুলিশদের অপদস্ত করা হয়।

এখানেই শেষ নয়, তারেকের সৈনিকরা পাটগ্রাম থানাকে উদ্ধার করতে যাতে হাতীবান্ধা থানা থেকে পুলিশ আসতে না পারে সেজন্য হাতীবান্ধা থানাকেও অবরোধ করে রাখে।

সরকারি কাজে বাধা দেয়া, অবরোধ ও হুমকির অভিযোগে হাতিবান্ধা থানায় যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল ও ছাত্রদলের কয়েকজন নেতাসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার রাতে হাতীবান্ধা থানার এএসআই শাহেদুল ইসলাম বাদী হয়ে করা এই মামলায় আরও অজ্ঞাতনামা শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

পুলিশ বলছে, বুধবার রাতে পাটগ্রাম থানায় সংঘর্ষ, ভাঙচুরের সময় পাশের হাতীবান্ধা থানা থেকে পুলিশ যাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে না পারে, সে জন্য বিএনপির সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা থানার ফটকে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে।

তবে বিএনপি নেতারা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল-বি) জয়ন্ত কুমার সেন ও হাতীবান্ধা থানার ওসি মাহমুদুন-নবী তিনটি গাড়ি নিয়ে উদ্ধার অভিযানে বের হয়েছিলেন।

তবে তাদের পথ আটক করা হয় ৭০-৮০টি মোটরসাইকেল দাঁড় করিয়ে। প্রায় ৪০ মিনিট অবরুদ্ধ করে রাখা হয় পুলিশ সদস্যদের।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *