ঢাকা: অন্তর্বর্তী সরকার, মব, গুণ্ডাবাহিনী দিয়ে সারা দেশে ছড়ি ঘুরিয়ে চলেছে। সরকারি কর্মকর্তারা কোনো অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন করতে পারবেন না।
মুহাম্মদ ইউনূস যা আদেশ করবেন,তাই পালন করতে হবে।
আন্দোলন করেছেন, কাজেও ফিরেছেন, কিন্তু শাস্তির ভয় পাচ্ছেন এনবিআর কর্মীরা।
এখন তারা দিন কাটাচ্ছেন বহিষ্কার আর দুদক আতঙ্কে। আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজেদের ফেসবুক পেজ নিষ্ক্রিয় করে ফেলেছেন। অন্যান্য সামাজিক মাধ্যম থেকেও নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন।
গলা চিপে শাসন কায়েম করছে এই দখলদার বাহিনী।
গত কয়েকদিনে এনবিআরের ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক। একই সময়ে ৬ কর্মকর্তাকে বদলি এবং ৫ কর্মকর্তাকে বহিষ্কার ও বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
এসব ঘটনায় আতঙ্ক বিরাজ করছে এনবিআরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে।
কেউ কেউ বলছেন, এনবিআর বিলুপ্তির বিরুদ্ধে আন্দোলনে করে কঠিন শাস্তির মুখে পড়েছেন তারা।
চাকরি বাঁচানো এখন দায় হয়ে গেছে। বড় কর্তাদের বিদায়ের খবরে অনেকের মন ভেঙে গিয়েছে।
এনবিআরের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘বাড়ি থেকে বোনকে ঢাকায় এনেছি। তাকে সব বুঝিয়ে বলেছি। আমার চাকরি গেলে বা দুদকের অনুসন্ধান শুরু হলে যাতে বিচলিত না হয়। এটা বাবা-মাকে বুঝিয়ে বলতে বলেছি। শুনেছি ২৬ জনের তালিকা হয়েছে, সবাইকে বরখাস্ত করবে। এরপর আরও ৫০ জনকে শাস্তি দেওয়া হবে।’
কর্মকর্তাদের নাস্তানাবুদ করে ফেলছে সরকার। শাস্তি হিসেবে যাদের অবসরে পাঠানো হয়েছে তারা মেধাবী ও দক্ষ কর্মকর্তা।
একজন বলেছেন , আমরা কয়েকজন মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি চেয়ারম্যানের কাছে ক্ষমা চাইবো। ভুল তো সবাই করে।
আসলে তাঁরা ভুল করে নয়, চাকরি বাঁচাতে ভীষণ ভয়ে দিন কাটাচ্ছেন।ক্ষমা চাইতে চাইছেন।
কর্মকর্তাদের নাস্তানাবুদ করে ফেলছে সরকার। শাস্তি হিসেবে যাদের অবসরে পাঠানো হয়েছে তারা মেধাবী ও দক্ষ কর্মকর্তা।
একজন বলেছেন , আমরা কয়েকজন মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি চেয়ারম্যানের কাছে ক্ষমা চাইবো। ভুল তো সবাই করে।
আসলে তাঁরা কোনো ভুল করেননি, চাকরি বাঁচাতে ভীষণ ভয়ে দিন কাটাচ্ছেন।
ইউনূস এভাবেই দমননীতি চালাচ্ছেন। সরকারি কর্মচারীদের সমাবেশের, প্রতিবাদের, বাকস্বাধীনতা নেই।
এই দখলদার সরকার বাকস্বীনতা, মিছিল-সমাবেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করছে।
প্রসঙ্গত, গত ১২ মে এনবিআর বিলুপ্ত করে অধ্যাদেশ জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার। এর বিরুদ্ধে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের কর্মসূচির ফলে সরকার গত ২৫ মে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারির মাধ্যমে এনবিআর বিলুপ্ত না করার বিষয় জানায়।
বরং এটিকে সরকারের একটি স্বতন্ত্র ও বিশেষায়িত বিভাগের মর্যাদায় আরও শক্তিশালী করা, রাজস্ব নীতি প্রণয়ণের লক্ষ্যে আলাদা একটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান গঠন এবং প্রয়োজনীয় সব সংশোধনের আগ পর্যন্ত জারি করা অধ্যাদেশ কার্যকর করা হবে না বলে জানানো হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে ঐক্য পরিষদ তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয়।
এরপর কাজে যোগদান করলেও আন্দোলনকারীরা এনবিআর চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি করেন।
পরে সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় অফিসে ফেরেন এনবিআর চেয়ারম্যান।
পরে ২৯ জুন রাজস্ব সংস্কারে উপদেষ্টা কমিটি গঠনের পর আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।