চট্টগ্রাম: মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিহিংসা কার উপর নেই? আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা, হিন্দু, সরকারি কর্মচারি সবার উপর দখলদারের আক্রোশ সীমা ছাড়িয়েছে।
ব্যক্তিগত আক্রোশ এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বলি হয়েছেন পটিয়াসহ চট্টগ্রামের হাজার হাজার ব্যাংকার। বিনা মতলবে ছাঁটাই চলছে।
মাত্র ১০ মাসে চট্টগ্রামের ৫৭৬৩ জন নিরপরাধ ব্যাংক কর্মকর্তা ও কর্মচারী তাঁদের প্রিয় চাকরি হারিয়েছেন।
এক একটা পরিবারকে গাঙের জলে ভাসিয়ে দিচ্ছেন, আর তিনি পড়ে আছেন চট্টগ্রাম বন্দর, করিডোর দিয়ে দেশকে বিক্রি করতে।
পরিবারগুলোর স্বপ্ন, নিরাপত্তা ও জীবনের ভরসা ছিনিয়ে নিচ্ছে এই দখলদার।
ষড়যন্ত্র করে শেখ হাসিনাকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করে দেশটাকে নরক বানিয়েছেন তিনি। জনগণের এখন দেখা ছাড়া আর উপায় নেই।
প্রতিবাদ করলেও জেলে পুড়ে দেয়া হচ্ছে।
উল্লেখযোগ্য যে, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকেই ঘোষণা ছাড়াই একের পর এক ব্যাংকগুলোতে চলছে কর্মীছাটাই।
হাসিনা সরকারের পতনের পর এস আলম গ্রুপের বিভিন্ন ব্যাংকে প্রশাসক নিয়োগ দেয় অন্তবর্তীকালীন ড.ইউনুস সরকার।
এর পর থেকেই ইসলামি ব্যাংকে একদল লোক ঢুকে ঘোষণা দেন যে ২০১৭ সাল থেকে এস আলমের নিয়োগ দেওয়া সব কর্মীকে চাকরিচ্যুত করা হবে।
তারপর থেকেই একে একে কর্মীদের চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে ।
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, কমার্স ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক এইসব ব্যাংক।
চট্টগ্রামের পটিয়ায় কর্মরত বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এই হঠাৎ ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
শনিবার (৫ জুলাই) পটিয়া প্রেস ক্লাবের সামনে ‘পটিয়া সচেতন নাগরিক সমাজ’-এর ব্যানারে অনুষ্ঠিত হয় এই কর্মসূচি।
এর আয়োজন করেন কানাডা প্রবাসী সাংবাদিক ও সংগঠক মফিজুল ইসলাম চৌধুরী বাবলু।
চাকরি হারিয়ে এখন পরিবার নিয়ে হতাশাগ্রস্ত ভাবে জীবন যাপন করছেন ব্যক্তিরা! ইউনূসের এসব দেখার সময় নেই।