ঢাকা: আনিসুল হকের মত একজন সৎ মানুষ, তাঁর বাবা ছিলেন প্রবল দু:সময়ে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার কৌশলী। তিনি করবেন ষড়যন্ত্র?
এঁদের আদর্শের সাথে ইউনূস পন্থীদের আদর্শ মিলবে?
অস্ত্র মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে বনানী থানার অস্ত্র মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২ দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার ঢাকার মহানগর হাকিম মিনহাজুর রহমান এ আদেশ দেন।
শুনানির জন্য আনিসুল হককে সকালে আদালতে হাজির করা হয়।
উল্লেখযোগ্য বিষয়টি হলো, মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আনিসুল হকের নিজের নামে নাকি লাইসেন্স করা একটি পিস্তল আছে।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট পর্যন্ত ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য দেওয়া সব আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করে।
এবং গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অস্ত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
কিন্তু বলা হয়, আনিসুল হক তার অস্ত্রটি থানায় জমা দেননি বা থানাকে এই সম্পর্কে কিছু জানাননি।
যাই হোক, এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আসিফ মাহমুদকে কেন কোনো আইনি প্রক্রিয়ায় আনা হলো না?
তাঁর কাছে পাওয়া অস্ত্র অবৈধ। এটা বৈধ বলার কোনো অপশন নেই। তিনি আইনের উর্ধ্বে নন। এই দুর্নীতিবাজ সন্ত্রাসীকে নিয়ে তো ইউনূসের কোনো তথ্য নেই?
এটাই স্পষ্ট আওয়ায়ী লীগের বিরুদ্ধে কী হচ্ছে!
উল্লেখযোগ্য যে , আনিসুল হকের বাবা মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ ও বিশ্বস্ত সহচর ছিলেন সিরাজুল হক।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনসহ স্বাধিকার আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ও মহান মুক্তিযুদ্ধে অনন্য সাধারণ ভূমিকা পালন করেন তিনি।
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাসহ ১৯৫৮ সাল থেকে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে যত মামলা হয়েছে তার বেশিরভাগ আইনজীবী ছিলেন তিনি।
১৯৯৬ সাল থেকে আমৃত্যু বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা এবং জেল হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি ছিলেন তিনি। তাঁদের পরিবারের আদর্শ আর সন্ত্রাসীদের আদর্শ মিলবে না। মেলানোর চেষ্টাও নেই।