ঢাকা: দেশে অশান্তি, দাঙ্গা লাগিয়ে রেখেছে জঙ্গী বাহিনী।

ন্যায় বিচার প্রার্থী বিডিআর। যৌক্তিক দাবিতে গত ১৫ দিন ধরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছে বিডিআর অথচ সরকারের দায়িত্বশীল পক্ষ থেকে কোনো সারা মেলেনি।

অবশেষে নিরুপায় হয়ে প্রধান উপদেষ্টা বাসভবন যমুনা মুখী মার্চ করতে হয়েছে আন্দোলনকারী বিডিআরকে।

এদিকে, নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গের অজুহাতে আবারো বিডিআরদের বিচারে কাঠ গড়ায় দাঁড় করানো হলো।

যা তাদের পরিকল্পনা ছিলো তার সফল হলো। পুলিশ বিডিআরকে সাংঘর্ষিক দিকে এগিয়ে দেয়া হলো।

এর আগে হাইকোর্ট যা বলেছিলো-

‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিডিআরকে সাংঘর্ষিক অবস্থানে দাঁড় করিয়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নবনির্বাচিত একটি গণতান্ত্রিক সরকারকে অস্থিতিশীলতার মধ্যে নিপতিত করা, দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার চেষ্টা হয়েছিল।’- হাইকোর্ট

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন

“পিলখানা বিডিআর বিদ্রোহে খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়া জড়িত বলে আমার সন্দেহ।

ওই দিন সকাল ৯টা থেকে তারেক জিয়া তার মাকে ৪৫ বার ফোন করেছিলেন। বার বার ফোন করে মাকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বলেছিলেন।

কেন এতবার ফোন করলেন আর খালেদা জিয়া কেন তার ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে বের হয়ে আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে গিয়েছিলেন। জনগণের কাছে এর জবাব তাদের দিতে হবে।” ১০ জানুয়ারি ২০১৬

আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো,
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্তের জন্য ৭ সদস্যের একটি কমিশন গঠন করা হয়।

এই কমিশনের কাজ শুরু হতেই অস্থায়ী আদালতে আগুন দিয়ে নথিপত্র পুড়িয়ে দেওয়া হয়! প্রমাণ লোপাটের জন্য পুড়ানো হয় নথি।

বিশেষজ্ঞদের ধারণা এক পক্ষ চায় বিডিআর হত্যকান্ডের বিচারের ইস্যু টিকে থাকুক, কারণ এই ইস্যুটা রাজনীতি, আন্দোলন করার জন্য খুবই জনপ্রিয় একটি ইস্যু। তাই একটা পক্ষ চাচ্ছে এই ইস্যুটে টিকিয়ে রেখে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে।

উল্লেখযোগ্য যে, চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে চাকরিতে পুনর্বহাল, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে গঠিত স্বাধীন তদন্ত কমিশনের বিভিন্ন ধারা বাতিল এবং বিডিআর নাম পুনর্বহাল ও কারাগারে বন্দি থাকা বিডিআর সদস্যদের মুক্তি- এই তিন দাবি আদায়ে সকালে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে শাহবাগে জড়ো হন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা।

রাজধানীর কাকরাইল মসজিদ মোড়ে অবস্থান নেওয়া চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের ওপর জলকামনের পানি, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ। আটক করা হয় কয়েকজন আন্দোলনকারীকে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *