ঢাকা: এবার বাংলাদেশে গ্রেপ্তার করা হলো অর্থনীতিবিদকে। মুহাম্মদ ইউনূস চেয়ারে বসার পর থেকেই চলেছে গ্রেপ্তারি, দমন পীড়নের রাজনীতি।
তাঁর গ্রেপ্তার হবার কথাই কারণ তিনি সত্যকে চোখ আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন সবার সামনে।
তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি গবেষণার মাধ্যমে দেখিয়েছেন যে কিভাবে শত্রু সম্পত্তি আইন অর্পিত সম্পত্তি নাম ধারণ করে হাজার হাজার একর হিন্দু সম্পত্তি প্রতিনিয়ত দখল হয়ে গেছে এবং যাচ্ছে।
‘বাংলাদেশে কৃষি-ভূমি-জলা সংস্কারের রাজনৈতিক অর্থনীতি’ শীর্ষক এক গবেষণায় বলেছেন-১৯৬৪ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ৫ দশকে মোট ১ কোটি ১৩ লাখ হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষ দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছেন।
এই অবস্থায় যেখানে দেখানো হচ্ছে হিন্দু কিভাবে বিনাশ হচ্ছে, তা তো সহ্য হবার কথা না এই সরকার, জামাত শিবিরের।
জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আবুল বারকাতকে দুর্নীতির একটি মামলায় গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
ডিবির যুগ্ম-কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা এক মামলার ভিত্তিতে ডিবির একটি দল এই অভিযান পরিচালনা করে।
গ্রেপ্তারের পর ড. বারকাতকে আজ শুক্রবার দুদকের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এরকম বহু ভুয়া অভিযোগে গ্রেপ্তারি চলছে দেশে।
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ড. আবুল বারকাতকে জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
তিনি ২০১৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই পদে সুন্দরভাবে দায়িত্ব পালন করেন।
এবং তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।