ঢাকা: বাংলাদেশে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল এই বছর অত্যন্ত খারাপ হয়েছে।
১৭ বছর পর বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম এত কম সংখ্যক এসএসসি পরীক্ষার্থী পাস করেছে।
শিক্ষার মানদণ্ড কোথায় নেমে গিয়েছে তা নিয়ে সারা দেশে জনগণের মধ্যে আলোচনা চলছে।
একটা অদৃশ্য দমবন্ধ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে এসএসসির এই ফলাফলের পর।
একজন ছাত্রের অভিভাবক বলছেন, ‘মনে হচ্ছে বাদশার শাসনাধীন দেশের বাসিন্দা আমরা—যেখানে প্রজার কান্না শোনা হয় না, আর ছাত্রদের স্বপ্নকে পদদলিত করাও যেন রাজার আদেশ’?
রাজনৈতিক এত অস্থির পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে যে, দেশের ভেতরে থাকা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সামান্য ‘শিক্ষার সুযোগ’টুকুও কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।
গণঅভ্যুত্থানের পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অস্থির পরিবেশ, শিক্ষার জন্য যে সুস্থ পরিবেশ দরকার সেটা ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে।
এছাড়াও মূল্যস্ফীতির প্রভাবে সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক সংকট, ফলে পড়াশোনা করাতে অভিভাবকরা হিমশিম খাচ্ছে।
দেশের নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন এই বছরের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল খারাপ হয়েছে। গড় পাসের হার ও ফলাফলের সর্বোচ্চ সূচক জিপিএ-৫ সবই কমেছে। সব পরীক্ষার্থী ফেল করেছে—এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও বেড়েছে।
এবং একইসাথে কমেছে শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও।
বলা হচ্ছে করোনার জন্য ফল খারাপ হয়েছে। আসলে তা হয়না। করোনা বাহানা।
তাছাড়া বলা হচ্ছে প্রশ্ন কঠিন এসেছে এইবার। ‘প্রশ্ন কঠিন’ হওয়ায় এবার গণিতে পাসের হার কম।
বৃহস্পতিবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি পরীক্ষা দেয় ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ৩১০ জন পরীক্ষার্থী। পাস করেছে ১০ লাখ ৬ হাজার ৫৫৪ জন।
পাসের হার ৬৮ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ; যা গতবার ছিল ৮৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ। এবার গতবারের চেয়ে জিপিএ-৫ কমেছে ৩৮ হাজার ৮২৭।