ঢাকা: দেশকে রক্তাক্ত করে সেই রক্তকে পুঁজি করে গড়ে উঠেছে এনসিপি।
ছাত্র জনতাকে ধুলোপড়া দিয়ে আন্দোলনে টেনে নিয়ে এসেছে এবং সেই রক্তের উপর দিয়ে নিজেদের পকেট মোটা করা এনসিপি এখন বিচার চায়।
জনগণকে নিয়ে রাজনীতি করে পকেট গরম করা ছাড়া আর কী করেছে তারা?
জুলাই মাসে তাদের কর্মসূচি হচ্ছে পদযাত্রা, যার মাধ্যমে তারা আগামী দিনের রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে চায়। এর বাইরে তাদের আর অবস্থান কী?
যত দিন যাচ্ছে, মিছিলে মানুষ বাড়ছে। বিরিয়ানির দাম বেড়ে যাচ্ছে! এত মানুষ নিয়ে আসার টাকা এনসিপি কোথায় পাচ্ছে,তার হিসাব জাতিকে দিতে হবে!
তারা তো মাটি, বালি, সিলেটের পাথর কিছুই বিক্রিও করেনা,ট্যাম্পু স্ট্যান্ড থেকে টাকাও তুলে না!
গত বছরের ত্রাণেরর ৮কোটি টাকাও নাকি ত্রাণ তহবিলে জমা দিয়ে দিয়েছিল। তাহলে কি ২জন উপদেষ্টা এত টাকা দিচ্ছে!
এই আয়ের উৎস কী? যারা রিক্সা চড়তো তারা গাড়ি ছাড়া চলে না! সেই তারাই নাকি বিচার চায় দেশে!
কত বড়বড় বক্তব্য শোনা যায় জঙ্গী নাহিদ, সার্জিসের মুখে! অথচ এই সন্ত্রাসীরাই সাজানো গোছানো দেশটাকে শেষ করেছে। এখন সব দায় আওয়ামী লীগের উপর ছেড়ে দেয়ার চেষ্টা করছে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন একসঙ্গে চাই। বিচার ও সংস্কার ছাড়া বাংলার জনগণ নির্বাচন মেনে নেবে না।
বিচার ও সংস্কার ছাড়া যারা নির্বাচন চায়, তারাই নির্বাচনকে পিছিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আমরা স্বাধীনতা এনেছি, সংস্কারও আনব।
তবে সংস্কারটা আসবে কবে, তা কে বলবে?
আমরা আমাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করব। আজ শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকালে যশোর শহরের জিরো পয়েন্টে জাতীয় নাগরিক পার্টির জুলাই পদযাত্রার পথসভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছরে দেশের রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দাঁড়াতে দেয়া হয়নি। সব প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করা হয়েছে।
আমরা এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয়করণ করতে দেব না। আমরা চাই পুলিশ নিরপেক্ষভাবে জনগণের পক্ষে কাজ করবে, কোনো দলের অনুসারী হবে না। আমলাতন্ত্র-প্রশাসন কোনো দলের অনুসারী হবে না।
তাদের প্রমোশন সরকারি দলের কোনো নেতার ওপর নির্ভর করবে না।
তিনি আরো বলেন, কোন দুর্নীতিবাজ, দখলবাজকে ভয় পাবেন না। একটি রাজনৈতিক দল দাবি করে কোটি কোটি মানুষের দল নাকি তাদের। এই কোটি কোটি, লক্ষ লক্ষ মানুষ আমাদের দেখায়েন না। আমরা ফ্যাসিবাদের আমলে দেখেছি কত মানুষ ছিল তাদের। সেই মানুষেরা কত আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা ১০জন দাঁড়িয়েছিলাম।