ঢাকা: বাংলাদেশের অবস্থা সবদিক থেকে ভয়াবহ অবস্থানে যাচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের নতজানু ভূমিকা দায়ী!
গত ১৮ মাসে বাংলাদেশে নতুন করে প্রায় দেড় লাখ রোহিঙ্গা দেশে আশ্রয় নিয়েছে।
আজ শুক্রবার জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, ২০১৭ সালে মায়ানমার থেকে প্রায় সাড়ে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার পর এটি সর্বোচ্চসংখ্যক রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঘটনা। নতুন আশ্রয়প্রার্থীদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
এই বিষয়টি জাতীয় নিরাপত্তা, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের জন্য বিশাল বড় হুমকি হয়ে উঠেছে।
রোহিঙ্গা উপস্থিতি স্থানীয় জনগণের জীবনে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
রোহিঙ্গারা বিভিন্ন সন্ত্রাসী কাজে যুক্ত হয়ে পড়ছে। এবং সীমান্ত পেরিয়ে ভারতেও চলে আসছে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে।বহু রোহিঙ্গা ধরা পড়েছে ভারতে।
তাদের মানবিক বোমা হিসেবে ব্যবহার করছে পাকিস্তান।
এদিকে বাংলাদেশে শ্রমবাজারে প্রতিযোগিতা, পারিশ্রমিক হ্রাস, কৃষি জমি ও বন উজাড়, অপরাধ বৃদ্ধিসহ নানা কারণে স্থানীয় মানুষ ক্ষুব্ধ ও বঞ্চিত বোধ করছে।
রোহিঙ্গা শিবিরকে ঘিরে গড়ে উঠেছে সংঘবদ্ধ অপরাধচক্র, অস্ত্র ব্যবসা, মাদক পাচার এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপের শক্ত ঘাঁটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারে চলমান সংঘাত এবং রাখাইনে বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলার ঘটনা হাজার হাজার রোহিঙ্গাকে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য করছে।
কিন্তু দেশে অন্তর্বর্তী সরকার কেন সজাগ নয়?
সংস্থাটি আরো বলেছে, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উদারভাবে আশ্রয় দিয়ে আসছে বাংলাদেশ।
কক্সবাজারে মাত্র ২৪ বর্গকিলোমিটার স্থানে এরই মধ্যে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রিত রয়েছে।
সেই সংখ্যার সঙ্গে গত দেড় বছরে আরো দেড় লাখ নতুন রোহিঙ্গা যুক্ত হয়েছে। ফলে এলাকাটি বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ স্থানে পরিণত হয়েছে।
সন্তান জন্ম দিতেই থাকে এরা। ফলে জনসংখ্যা তো একজায়গায় থেমে থাকে না। কোনো নিরাপত্তা নেই।