ঢাকা: ৫ আগস্টের পর শুরু হয়েছে গ্রেপ্তারি, এখনো চলছে। আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চলেছে গভীর থেকে গভীর ষড়যন্ত্র।

গত ১০ মাসে ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৭৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচ মাসে গ্রেপ্তার হয়েছেন ১ লাখ ৪৬ হাজার ১০৯ জন।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত আরও ২ লাখ ১৩ হাজার ৬৮৯ জন নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন।

গ্রেপ্তার যারা হয়েছেন, তাঁদের অধিকাংশই নির্দোষ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী। তাঁদের দোষ শুধু তাঁরা আওয়ামী লীগ করেছেন।

এদের অনেকের বিরুদ্ধেই কোনো মামলা নেই, আর যাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, সেগুলোর বেশিরভাগই ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা মামলা।

বর্তমানে দেশে ৬৯টি কারাগারে বন্দিদের জন্য মোট ধারণক্ষমতা হচ্ছে ৪২ হাজার ৮৮৭ জন।

অথচ দেখা যাচ্ছে বর্তমানে কারাগারগুলোতে বন্দি রয়েছে ৭৩ হাজার ৬ জন, যার মধ্যে পুরুষ ৭০ হাজার ৪১৭ জন এবং নারী ২ হাজার ৫৮৯ জন।

ফলে এই অবস্থায় কারাগারগুলো গুদামে পরিণত হয়েছে। দমবন্ধ অবস্থা চারদিকে।

রাজাকার, দাগী আসামিদের ছেড়ে দিয়ে, যারা মব করছে, খুন করছে তাদের বিচার না করে আওয়ামী লীগ ধরে ধরে কারাগারে ঢুকানো হচ্ছে।

এদিকে র‌্যাবের তথ্য ভিন্ন কথা বলছে, প্রায় ১০ মাসে বিভিন্ন মামলায় সাড়ে সাত হাজার ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার এবং পাঁচ শতাধিক অস্ত্র উদ্ধারের তথ্য দিয়েছে র‌্যাব।

তবে অস্ত্রগুলো যে জুলাই আগস্ট ষড়যন্ত্র, জঙ্গী হামলায় থানা থেকে লুট করা হয়েছে সে তথ্য তারা দেয়নি।

বলা হচ্ছে, অস্ত্র ও গোলাবারুদ মামলায় ১৭২ জনকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি পাঁচ শতাধিক অস্ত্র এবং ১০ হাজারেরও অধিক গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।

তবে এত অস্ত্র কীভাবে এলো, আসিফের ব্যাগে কেন অস্ত্র এইসব তথ্য প্রশাসন, সরকারের মুখ দিয়ে বেরোবে না।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *