ঢাকা: মুহাম্মদ ইউনূসের মববাহিনীর হাতে ৫ আগস্ট থেকে প্রতিনিয়ত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হত্যার শিকার হচ্ছে। এরমধ্যে সভ্য দেশের সবচেয়ে নিরাপদ স্থান কারাগার তথা পুলিশি কাস্টডি, সেখানেও হত্যার শিকার হয়েছে নেতাকর্মীরা।

গ্রেফতারের আগে যারা সুস্থ ছিলেন, গ্রেফতারের পরে নির্যাতন চালিয়ে তাদেরকে অসুস্থ বানানো হয়েছে। অনেকের পরিবারকে এমনকি জানানো পর্যন্ত হয়নি অসুস্থতার কথা, অনেকের ক্ষেত্রে পরিবারের দাবি সত্ত্বেও সময়মতো ও সঠিক চিকিৎসা করানো হয়নি।

আর হত্যার শিকার ব্যক্তিদের মিথ্যা ও সাজানো মামলায় অথবা গ্রেফতারের পরে বিভিন্ন মামলার আসামী করা হয়েছিল।

এবার ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এস এম মিজানুর রহমানের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদে নাশকতার মামলায় ঢাকার মহানগর হাকিম পার্থ ভদ্র বৃহস্পতিবার এই অনুমোদন দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিউ মার্কেট থানার এসআই আশরাফুল ওমর তার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
মিজানুর রহমানের আইনজীবী ওবাইদুল ইসলাম রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানিতে তিনি বলেছেন, ‘আসামি নির্দোষ, নিরাপরাধ। তাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলায় জড়ানো হয়েছে। তিনি ঘটনা সম্পর্কে জানেন না।

“একটা ঘটনা ঘটিয়ে মামলা করে তার নাম দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তিনি জটিল রোগে আক্রান্ত। রিমান্ড বাতিল চেয়ে তার জামিনের প্রার্থনা করছি।”

শুনানি শেষে আদালত তার তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

বাস্তবতা হলো ড. ইউনূস সরকারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নির্দেশে দেশে আওয়ামী লীগ নিধনযজ্ঞ চলছে। ফলে বিচারের প্রশ্ন এখন অবান্তর।

কারাগারে হত্যার শিকার নেতৃবৃন্দের তালিকা :

১। ইলাহি সিকদার(১৯), গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার নিজামকান্দি ইউনিয়নের ফলসি গ্রামের আওয়ামী লীগ সমর্থক।

২। শফিকুল ইসলাম (৪৫), গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা ইউনিয়নের গোবিন্দী গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা।

৩। সোহরাব হোসেন আপেল (৩৫), গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা ইউনিয়নের গোবিন্দী গ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী ও প্রাইমারি স্কুলের নৈশপ্রহরী।

৪। আলীমুজ্জামান চৌধুরী (৫৮), মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম কল্যাণ পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়ার বাসিন্দা।

৫। শহিদুল ইসলাম রতন (৫৮), বগুড়া পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

৬। আবদুল লতিফ (৬৭)

৭। অধ্যক্ষ শাহাদত আলম ঝুনু (৫৭)

৮। হযরত আলী (৩০)

৯। আবদুল মতিন মিঠু (৬৫)

১০। আতাউর রহমান আঙ্গুর (৫৫)

১১। নিত্য সরকার (৪৪)

১২। শেখ জহিরুল ইসলাম

১৩। মমিনুর ইসলাম (৫০)

১৪। আক্তার শিকদার

১৫। আব্দুর রাজ্জাক (৫০)

১৬। সিদ্দিক হোসেন মোল্লা (৪৫)

১৭। জাহিদুল ইসলাম শিপু

১৮। এমদাদুল হক ভুট্টো (৫১)

১৯। সুজিত চন্দ্র দে (৪০)

২০। রিয়াজুল ইসলাম

২১। ফরজাদ হোসেন সজিব

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *