ঢাকা: এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না! এই দেশ মৃত্যু উপত্যকা হবার কথা ছিলো না। কিন্তু হয়েছে। হয়েছে জঙ্গীর প্রত্যাবর্তনে! হয়েছে ইউনূসের কারণে।

প্রতিদিন হত্যা হচ্ছে, প্রতিদিন লাশের উপর দাঁড়িয়ে উল্লাস হচ্ছে! দেখার নেই কেউ। নীরব সবাই। অদ্ভুত নীরব।

গত ১১ মাসে যা হত্যাকাণ্ড হয়েছে, যতগুলো আওয়ামী লীগের নিরীহ কর্মী মারা হয়েছে, তার সিকিভাগও জুলাই-আগস্টে হয়নি।

মসজিদে নিরাপদ নয় ইমাম, মন্দিরে পুরোহিত। শিক্ষকদের অবস্থা বেহাল। হিন্দুরা ঘরের বাইরেই বেরোতে পারে না।

ছেলেকে না পেয়ে নামাজরত মাকে কুপিয়ে মারছে, ঘোষণা দিয়ে গোটা পরিবারকে শেষ করে দিচ্ছে; ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে, চাকু দিয়ে রগ কেটে, হাত পা বিচ্ছিন্ন করে, যত নির্মম উপায় আছে, তার সবগুলো গত ১১টা মাসে জাতি দেখে ফেলেছে।

আরো বাকি আছে….! অপেক্ষা করতে হবে!

এই শয়তান জঙ্গী যতদিন বসে আছে গদিতে ততদিন এই হত্যাকাণ্ড হবে। হতেই থাকবে।

আর বিচার? সে কথা বহু দূর! বিচারকদের নিরাপত্তা নেই, বিচার করবে কে? বিচার করে মবের শিকার হবে?

জামাত শিবির, ইউনূস, বিএনপি শেষ করে ফেলেছে সব।

এতদিন বুঝে-না বুঝে যারা স্বৈরাচার-স্বৈরাচার করতেন, শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট বলতেন! অথচ তারা জানেনই না ফ্যাসিবাদের সংজ্ঞা কী, স্বৈরাচার কাকে বলে!

এখন শেখার সময়।

বলা হচ্ছে সারা দেশের বিভিন্ন থানায় দায়ের হওয়া খুনের মামলার তথ্যের ভিত্তিতে অপরাধ পরিসংখ্যান তৈরি করে পুলিশ সদর দপ্তর।

তাদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সারা দেশে ১ হাজার ৯৩০ জন খুন হয়েছেন। এর মধ্যে জানুয়ারিতে খুন হন ২৯৪ জন। ফেব্রুয়ারিতে খুনের সংখ্যা বেড়ে হয় ৩০০।

মার্চে সারা দেশে ৩১৬ জন খুন হয়েছেন। এপ্রিলে ৩৩৬ জন, মে মাসে ৩৪১ জন খুন হন। জুন মাসে সারা দেশে মোট ৩৪৩ জন খুন হয়েছেন।

তবে এই হিসাব নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ আছে। এর আরো বেশি খুন হয়েছে, যার তথ্য দেয়া হয়নি।

রাউজান রক্তক্ষেত্র হয়েছে।

মাত্র এক বছরে রাউজান উপজেলা পরিণত হয়েছে এক ভয়াবহ হত্যাক্ষেত্রে। এগুলো সব সুপরিকল্পিত, রাজনৈতিক মদদপুষ্ট সহিংসতা।

এই রক্তাক্ত ঘটনাগুলোর বেশিরভাগের পেছনে আছে বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস কাদের চৌধুরীর ছায়া।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *