ঢাকা: বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন এক আলোচনার জন্ম দিয়েছে এনসিপি (নাগরিক ক্ষমতা পার্টি)।
এনসিপির বহু শীর্ষস্থানীয় নেতা ও সাবেক সমন্বয়কারীদের হঠাৎ শতকোটি টাকার মালিক বনে যাওয়ার বিষয়টি সন্দেহজনক তো বটেই।
সন্দেহজনক নয় একেবারে খোলাখুলিই এরা ডাকাত। বন্যায় ত্রাণের টাকা উঠিয়ে আখের গোছানো এইগুলো সবকিছুই নজরে এসেছে।
কয়েকজন সাবেক সমন্বয়ক ইতিমধ্যে চুপচাপ বিদেশ গমন করেছেন।
এইসব নিয়ে দলের ভেতরে অসন্তোষও বাড়ছে। অনেকে বলছেন, “দলের জন্য আমরা মাঠে নেমেছিলাম, কিন্তু শীর্ষ নেতারা নিজেদের আখের গুছিয়েছেন।”
এভাবে লালের বিরুদ্ধে লালের যুদ্ধ লেগেছে।
খাগড়াছড়িতে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক ও জেলা পরিষদ সদস্য মনজিলা সুলতানা ঝুমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন দলটির জেলার প্রস্তাবিত কমিটির এক যুগ্ম আহ্বায়ক।
দুর্নীতি থেকে বাদ কে? দুর্নীতিগ্রস্তদের স্বার্থে আঘাত এলে তারা আবার পাল্টা দুর্নীতির অভিযোগ ঠুকছেন।
রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছে দেশে।
শনিবার সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এনসিপি নেত্রী ঝুমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন মো. রাসেল।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, সম্প্রতি পার্বত্য জেলা পরিষদের অধীনে গুইমারা বাজারের ইজারার শেয়ারের বিক্রি করে ৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা লাভ করেন রাসেল।
রাসেলের দাবি, পুরো প্রক্রিয়াটির সঙ্গে জড়িত ছিলেন তার দলের নেত্রী মনজিলা সুলতানা ঝুমা।
কিন্তু ঝুমা নিজে সব টাকা রেখে দিয়ে তাকে মাত্র ২৫ হাজার টাকা দিয়েছেন।
রাসেল বলেন, “বিষয়টি আমি মেনে নিতে পারি নাই।”
টাকার অংশ না পেয়ে দুনীতির অভিযোগ! আগেই বলেছি এই কথা। যদি টাকা পেতেন তাহলে আর দুর্নীতি ছিলো না সেটা।
তার আরো অভিযোগ, “উনি (মনজিলা সুলতানা ঝুমা) জেলা পরিষদের সদস্য হয়ে বিভিন্ন প্রকল্প নিজের নামে নিয়েছেন।
জেলা পরিষদ থেকে জনগণের জন্য বরাদ্দ টাকা উনি সম্পূর্ণ নিজের কাজে ব্যবহার করেন। সবগুলো প্রজেক্ট উনার নিজের নামে। উনি এনসিপির ভালো চায় না।
যারা এনসিপি ব্যবহার করে নিজের আখের গোছাতে চায় তাদের যেন এনসিপির দায়িত্ব দেওয়া না হয়।”