চুয়াডাঙ্গা: বাংলাদেশে হঠাৎ করে গরম তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। এপ্রিল মাসে ততটা তীব্রতা ছিল না। আবার চলতি মে মাসের প্রথম সপ্তাহেও তাপমাত্রা মোটামুটি সহনীয় ছিল । কিন্তু বুধবার থেকে অসহ্য হয়ে উঠেছে। তাপমাত্রা চড়তে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার দেশের বড় অংশ জুড়ে ছিল মাঝারি তাপপ্রবাহ।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, গতকাল বাংলাদেশের যত অংশ জুড়ে তাপের বিস্তার ছিলো, তা চলতি বছর এর আগে দেখা যায়নি। গরমে লোকজনের হাঁসফাঁস অবস্থা।

এদিকে, শুক্রবার দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি মাঝারি তাপপ্রবাহ ।

আর এত গরমে মানুষ স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারে না। যারা প্রতিদিন রোজগার করা মানুষ, তাদের তো যেতেই হয়, ফলে অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁরা।

আবহাওয়া কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান জানান, তাপমাত্রা আরও বাড়বে। ১৩ মে পর্যন্ত তাপমাত্রা থাকবে বেশি। তারপর বৃষ্টি হতে পারে। পরে নিম্নচাপও দেখা দিতে পারে।

এই তীব্র দাবদাহের সময়ে বিশেষ সতর্ক বার্তা দেয়া হচ্ছে !সারা দেশে বয়ে যাওয়া তীব্র গরম আবহাওয়া সহসাই কমছে না। বরং তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।

এমতাবস্থায় ঘরে অবস্থান করা সুস্থ থাকার সর্বোত্তম পন্থা হলেও জীবিকার তাগিদে তা সবসময় সম্ভব হয়ে ওঠে না।

আর তাই প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হলেও যেন সুস্থ থাকা যায় সেই কারণে চাষী ভাইসহ সকলকে নিরাপদ ও সুস্থ থাকার লক্ষ্যে সাবধানতা অবলম্বন করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

দেশজুড়ে বয়ে চলা তাপপ্রবাহের মধ্যে, তিনদিনের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর; দেশের কোথাও কোথাও বয়ে যেতে পারে তীব্র তাপপ্রবাহ।

দেশের ৪৫ জেলার উপর দিয়ে বৃহস্পতিবার তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সেদিন রংপুর, দিনাজপুর, নীলফামারি, রাজারহাট, ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, ফেনী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, বান্দরবান, বরিশাল, পটুয়াখালী জেলা এবং ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছিল।

ওইদিন সর্বোচ্চ ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা নথিবদ্ধ হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। ঢাকাকেও ছাড়িয়ে গেছে চুয়াডাঙ্গা। এ সময় ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ডিগ্রি সেলসিয়াস।

গরমে হিট স্ট্রোক এড়াতে কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিৎ:

১! পর্যাপ্ত জল পান করুন।

২! হালকা ও ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করুন।

৩! দুপুর ১২টা থেকে ৩টার মধ্যে রোদে বের হওয়া এড়িয়ে চলুন।প্রয়োজনীয় সকল কাজ সকাল ১১টার মধ্যে সেরে ফেলার চেষ্টা করুন।

৪! বাইরে বের হলে ছাতা ব্যবহার করুন।

৫! শিশু ও বয়স্কদের বিশেষ যত্ন নিন।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *