ঢাকা: বাংলা একাডেমি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উন্নতির জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

১৯৪৮ সালের মার্চ মাসে, ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলাকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আন্দোলন শুরু হয়।

১৯৫৫ সালের ৩ ডিসেম্বর ঢাকার বর্ধমান হাউসে বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয়।

কিন্তু বাংলা একাডেমি এখন ব্যবসা হয়ে গেছে।

সংস্কার প্রয়োজন আছে। কিন্তু বাংলা একাডেমির বিধিবিধান সংস্কারের জন্য যে কমিটি করা হয়েছে, তাতে হতাশ হওয়া ছাড়া উপায় নেই।

একাডেমি বিগত ৮০ বছরে সদস্য বানিয়েছে ২৬০০+। ক্রাইটেরিয়া অনুযায়ী এর মধ্যে ২০০০-ই অযোগ্য।

এতদিন একাডেমি চলছিল গরুর গাড়ির গতিতে। এখন সংস্কার কমিটি দেখে মনে হচ্ছে— সেটাকে ‘কচ্ছপ গতি’র বানিয়ে ফেলবে।

বাংলা একাডেমি সংস্কারে যে কমিটি গঠন করেছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, সেই কমিটি কতটা আইন মেনে হয়েছে, সেটা নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে।

একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক, ফেলো, জীবন সদস্যদের অনেককে না জানিয়েই কমিটি করা হয়েছে।

এমনকি কমিটিতে কয়েকজন সদস্য হয়েছেন; যারা একাডেমির সাধারণ সদস্যও নন। তাদের নিয়ে বাংলা একাডেমি সংস্কার কমিটি প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।

এখন সংস্কার কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলা একাডেমির কার্যক্রমে সময়োপযোগী গুণগত পরিবর্তন ও সংস্কারের লক্ষ্যে কমিটি গঠিত হয়েছে।

বিশিষ্ট লেখক, গবেষক ও অনুবাদক ফয়জুল লতিফ চৌধুরীকে সভাপতি ও বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজমকে সদস্যসচিব করে বিশিষ্ট ব্যক্তি ও গুণীজনের সমন্বয়ে ১৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।

৭ জুলাই সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিনের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা যায়।

কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হচ্ছেন- দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার সম্পাদক কবি ও প্রাবন্ধিক আবদুল হাই শিকদার, গবেষক ও বিশিষ্ট লেখক অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের অধ্যাপক সুমন রহমান, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, বিশিষ্ট কবি ব্রাত্য রাইসু, বিশিষ্ট কবি ও চিত্র পরিচালক মোহাম্মদ রোমেল, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) মহাপরিচালক মাহবুব মোর্শেদ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক লতিফুল ইসলাম শিবলী, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র পরিচালক আফসানা বেগম, লেখক ও বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক আ আল মামুন, বিশিষ্ট কবি-প্রাবন্ধিক ও গবেষক সাখাওয়াত টিপু, বিশিষ্ট লেখক ও বুদ্ধিজীবী রিফাত হাসান, বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ও দৈনিক সমকালের সাংবাদিক এহসান মাহমুদ, বিশিষ্ট কবি ও সাংবাদিক কাজী জেসিন, বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ও অধ্যাপক আহমাদ মোস্তফা কামাল, বিশিষ্ট লেখক ও অনুবাদক জাভেদ হুসেন, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশর (পিআইবি) গবেষণা বিশেষজ্ঞ সহুল আহমদ মুন্না।

এদিকে, পরিষদকে একেবারে নিষ্ক্রিয় করে রেখেছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি মাত্র একবার সভা ডেকেছেন, যেখানে আইন অনুযায়ী প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তত একটি সভা হওয়ার কথা। কিছুই করেন না তিনি।

উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী সংবাদ সম্মেলন ডাকলেও সাংবাদিকদের উপস্থিতি আশানুরূপ হয় না। কারণ সাংবাদিকদের প্রশ্ন সহ্য না করলে তো সাংবাদিকরা আসবেন না। তাঁকে বয়কট করবেন এটাই স্বাভাবিক।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *