ঢাকা: আসলে চিন্ময় প্রভুর সেই উস্কানির বক্তব্যটা কী ছিল? নির্যাতনের বিরুদ্ধে কথা বলা মানেই উস্কানি? কোটা আন্দোলনের নামে শত শত খুন হয়েছে, সেগুলো আন্দোলন– আর হিন্দু নির্যাতন নিয়ে বললেই উস্কানি?

উস্কানি কিছু নয়। মূলত হিন্দুরা যাতে মুখ বুঁজে সব সহ্য করে যায়, আর সহ্য করতে না পারলে সেই ৭১ এর মতো ভিটামাটি ফেলে রেখে দেশ‌ছেড়ে পালায়, সেই পথ করে দিচ্ছে সরকার, মৌলবাদী গোষ্ঠী।

তারপর হিন্দুদের সেই জমি দখল করে আরাম আয়েসে দিন কাটাবে। সেটা তো মনে হয় সম্ভব নয়। কারণ একই ধর্মে কোন্দল বেঁধেছে।‌যা বরাবর ইতিহাস দেখিয়েছে আগেও। ফলে এই মৌলবাদীদের ঠাঁই নাই কোথাও।

চিন্ময় প্রভু একজন সাহসী বক্তা। তাই হিন্দু কন্ঠ বন্ধ করেছে ইউনূস।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে হিন্দু সম্প্রদায় সবচাইতে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে, ঠিক একই ভাবে ৫আগস্টের পর আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীর পাশাপাশি হিন্দুদের উপর প্রকাশ্যে নির্যাতন চলছে।

হত্যা ধর্ষণ উপাসনালয় ভাঙচুর, জবরদস্তি দেখে মনে হচ্ছে ইউনূস গং হিন্দু সম্প্রদায়কে বাংলাদেশ থেকে নিধন করেই ছাড়বে।

বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের আইনি হয়রানি” করার লক্ষ্যে দেশজুড়ে “হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের হয়রানি, ভয় দেখানো এবং উচ্ছেদ করার জন্য ব্যবহৃত মিথ্যা ফৌজদারি মামলার পদ্ধতিগত অপব্যবহার”-এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা (পিআইএল) দাখিল করেছে হিউম্যান রাইটস কংগ্রেস ফর বাংলাদেশ মাইনরিটিজ।

“জমা দেওয়া জনস্বার্থ মামলা কেবল একটি আইনি পদক্ষেপ নয় – এটি দেশে ন্যায়বিচারের জন্য একটি আর্তনাদ যেখানে ৩৯ লক্ষেরও বেশি ফৌজদারি মামলা বিচারাধীন রয়েছে”। সোমবার এইচআরসিবিএম কর্তৃক জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

মানবাধিকার সংস্থা প্রকাশ করেছে যে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারাধীন চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন আবেদনের কয়েক মাস ধরে কোনও নিষ্পত্তি হয়নি। তারপর থেকে, এটি বলেছে যে তিনি “খুনের মিথ্যা অভিযোগ” সহ একাধিক “বানোয়াট মামলায়” জড়িয়ে পড়েছেন।

HRCBM প্রশ্ন চিন্ময় প্রভুর প্রসঙ্গে বলেছে যে “তাঁর একমাত্র অপরাধ ছিল ক্ষমতার সামনে সত্য কথা বলা এবং বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকারের পক্ষে কথা বলা”।

প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে, বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা বারবার সহিংসতা, আইনি নির্যাতনের সম্মুখীন হয়েছে। আজ, মিথ্যা ফৌজদারি মামলা এই নির্যাতনের একটি নতুন সীমানা প্রতিনিধিত্ব করে – যা পদ্ধতিগত এবং নীরব উভয়ই।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *