ঢাকা: বিএনপি কেন দ্রুত নির্বাচন চায়,তা হয়তো গত এক বছরে তাদের কর্মকাণ্ডে বুঝতে পেরেছে দেশবাসী।
ইউনুস সরকারকে যদি পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া হয় তাহলে বিএনপির জনপ্রিয়তা পৌঁছাবে শূন্যের কোটায়, যা আওয়ামীলীগের চেয়ে পিছিয়ে।
গত একবছরে চাঁদাবাজি, মামলা বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, হুমকি ধামকি, মানুষহত্যা কি করে নাই বিএনপি।
ক্ষমতায় আসার আগেই এই দল যা শুরু করেছে তাতে ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই জনগণ তাদের রিজেক্ট করছে। গেলে সামনে পাঁচ বছরে সবকিছু পূর্ণ হয়ে যাবে।
বিএনপির যুক্তি হলো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে জনগণ সরকার নির্বাচন করবে। তাই নির্বাচন দিন। এর বিপরীতে বলা হয়, সংস্কার ছাড়া জনগণ নির্বাচন চায় না। সেক্ষেত্রে বিএনপির যুক্তি হলো, আচ্ছা তাহলে আপনারাও নির্বাচনে আসেন। দেখা যাক মানুষ কী চায়। মানুষ সংস্কার চাইলে তো আপনাকে নির্বাচিত করবেই।
বিএনপি এতো শক্তিশালীভাবে নির্বাচন কেন চায়? বাস্তবতা হলো, বিএনপি জানে একটা সহীহ নির্বাচন দিলেও সে ক্ষমতায় চলে আসতে পারবে।
সংস্কারের আলাপ ও দাবি সত্যিকার অর্থে শহুরে শিক্ষিত মিডল ক্লাসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ সংস্কার কী হচ্ছে তা জানেও না, জানার চেষ্টাও করে না। সে দেখে তার কাজ কাকে দিয়ে হচ্ছে। তাই যার তৃণমূল যত শক্তিশালী সে ক্ষমতায় আসবে এখানে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমাদের লক্ষ্য এখন একটাই, বাংলাদেশে ছাব্বিশের ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হতে হবে। এর কোনো ব্যতিক্রম হবে না। গণতন্ত্রের প্রশ্নে আমাদের কোনো আপস নেই। আমরা নির্বাচন চাই। যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেই সময়টাতেই আমরা নির্বাচন চাই।’
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলের এক সমাবেশে নিজের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ক্রমাগত ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যাচার-অপপ্রচার এবং পুরান ঢাকায় ব্যবসায়ী হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে নয়াপল্টনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি।
মিছিলের আগে জড়ো হওয়া নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি নেতারা বক্তব্য দেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘যখন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারেক রহমান বৈঠক করে নির্বাচনের সময় ঠিক করেছেন তখন থেকে তাদের মাথা বিগড়ে গেছে। গণতন্ত্রের প্রশ্নে আমাদের কোনো আপস নেই। আমরা নির্বাচন চাই। যে সিদ্ধান্ত হয়েছে সেই সময়ের মধ্যে নির্বাচন চাই। আমরা মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই।
আমাদের নেতা তারেক রহমানের নির্দেশে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাই। আজকে অনুরোধ করব, ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি মোকাবেলা করবেন।
নেতাদের কাছে অনুরোধ করব, এমন কিছু হতে দেবেন না যাতে গণতন্ত্রের শত্রুরা সুযোগ পেয়ে যায়। যারা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কথা বলে, বিএনপির বিরুদ্ধে কথা বলে তারা গণতন্ত্রের শত্রু, তারা এ দেশের মানুষের শত্রু।’
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস নাম না নিয়ে একটি দলের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, আর একটি দল লম্বা লম্বা কথা ছাড়া, সুকৌশলে চাঁদা নেয়া ছাড়া, তাদের কোনো কাজ নাই।
এরশাদের সময়ে এরশাদের কাঁধে ভর করেন, আওয়ামী লীগের সময়ে আওয়ামী লীগের কাঁধে ভর করেন, বিএনপির সময়ে বিএনপির কাঁধে ভর করেন।