ঢাকা: জুলাই ষড়যন্ত্রে বুঝে না বুঝে নারীরা অংশগ্রহণ করেছিলো। যারা সক্রিয় ছিল, তাদের কাওকেই এখন আর দেখা যায় না, কেন? তাঁরা নিজেরাই সরে গেলো? নাকি সরিয়ে দেয়া হলো?
রাষ্ট্র তো নারীর দায়িত্ব নেয় না। নারী ধর্ষণ করে কেবল! এখন উপদেষ্টারাই উত্তর খুঁজছেন, সেই নারীরা কোথায় গেলো?
হায় আফসোস! হায় আফসোস!
নিজেরাই এখন কারণ অনুসন্ধানে হা পিত্যেষ করছে। হায়রে জুলাই বিপ্লবের যোদ্ধা আর যোদ্ধাদের অভিভাবক!
আমি এই করেছি ঐ করেছি, বরং তারা জুলাই পদ ছেড়ে দিয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন করছে। অথচ ঝড়ের পরে গর্ত থেকে বেরিয়ে আসা কিছু মানুষ দেখা যাচ্ছে জুলাই অভ্যুত্থানের উপদেষ্টা বনে গিয়েছে।
কিছু মানুষ আসলেই পরিবর্তন চায়,আর কিছু মানুষ পরিবর্তন এর ক্রেডিট নিয়ে শুধুই পদ চায়।
রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘জুলাই নারী দিবস’ উদযাপনে নারীদেরকে যেভাবে উপহাস করা হয়েছে এরচেয়ে জঘন্য উপায়ে বোধহয় নারীদের অপমান করা সম্ভব নয়।
ইউনূস গদিতে বসার পর গত এক বছরে রাষ্ট্র ও অন্তর্বর্তী সরকার নারীর প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট করে দিয়েছে।
ধর্ষণ, হত্যা, নির্যাতন, মব আক্রমণ, সাইবার বুলিং, বিচারহীনতা, বাকস্বাধীনতা হরণসহ নানাভাবে নারীদের ওপর দমন-পীড়নের সব রাস্তা খোলা রেখেছে সরকার।
ইন্টারিম ধর্ষক, মব, হত্যাকারী, হেনস্তাকারীদের শুধু পোষে নি – প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন যায়গায় লেলিয়ে দিয়েছে। প্রতীকী দিবস উদযাপন করলে এসব আড়াল হয়ে যায় না।
এই কারণগুলো উপদেষ্টারা খুঁজে পান না।
উপদেষ্টা শারমীনের কথা হাস্যকর। জুলাই অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী নারীদের অনেকে কেন এখন সামনে আসছেন না, সে বিষয়টি ভেবে দেখার তাগিদ দিয়েছেন নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ।
তিনি বলেছেন, “যারা এত সাহসিকতার সাথে যুদ্ধ করল, তারা কেন মুখ লুকিয়ে ফেলল—এটাও বোঝা প্রয়োজন।”
শারমীন এস মুরশিদ বলেন, “অনেক আহত নারী যারা ঘর বন্ধ করে লুকিয়ে আছে, সামনে আসছে না, ডিপ্রেশনে আছে, তারা কেমন আছে, দেখার কিন্তু আমাদের দায়িত্ব।”
সামাজিকভাবে এবং সাইবার স্পেসে নারীদের যে ‘অবিরাম বুলিংয়ের’ শিকার হতে হচ্ছে, সেই বাস্তবতা তুলে ধরে তিনি বলেন, “অনেক আজেবাজে কথা বলা হয়। কিন্তু এই মেয়েরা তো বীর যোদ্ধা। আমি বিশ্বাস করি, তারা এটার থেকে বেরিয়ে আসবে এবং মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।”
তিনি বলেন, “এত বড় পরিসরে (নারীদের অংশগ্রহণ) কনটেম্পোরারি হিস্ট্রিতে নেই, যেখানে এত নারী একসাথে আন্দোলনে নেমেছে।
আন্দোলনকারীরা নিজেরাই আমাকে বলেছেন, প্রায় ৬৫ থেকে ৭৯ ভাগ মেয়ে ছিল, এবং এটা বিস্ময়কর। এর সূচনাও করে মেয়েরা—প্রথম স্লোগান, প্রথম ঘর থেকে বের হওয়া, প্রথম হোস্টেল থেকে বের হয়ে আসা—এটা যেমন আমাদের সকলের চোখে স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল।
এই জ্ঞানী উপদেষ্টা ৭১ এ নারীযোদ্ধার কথা ভুলে গেছেন! বেমালুম ভুলে গিয়ে কী অদ্ভুত সব কথা এরা বলে যান!
এদের নেতৃত্বে নারী শ্বাস নেবে কীভাবে?