ময়মনসিংহ: প্রতিদিন ঘরে বাইরে এই ধরনের নৃশংস ঘটনা ঘটেই চলেছে। ৫ আগস্টের পর তথা শেখ হাসিনাহীন বাংলাদেশে নারী, জনগণ একেবারে নিরাপদ নেই।
ভয়াবহ অবস্থা! পরিবারের লোকজন খুন করছে, বাইরে বেরোলে খুন হতে হচ্ছে। বিচার নেই, আইন নেই- মানুষ আদিম যুগে ফিরে গিয়েছে।
ইউনূসের পালন করা জঙ্গীদের উপদ্রব তো আছেই।
ময়মনসিংহের ভালুকায় দুই সন্তানসহ নারীকে গলা কেটে খুন করা হয়েছে।
এই হত্যার ঘটনায় তার দেবরকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
নিহত নারীর বড় ভাই জহিরুল ইসলাম সোমবার রাতে ভালুকা মডেল থানায় বাদী হয়ে মামলাটি করেন বলে জানিয়েছেন থানার ওসি হুমায়ূন কবির।
প্রধান আসামির নাম নজরুল ইসলাম। তিনি নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার সেনের বাজার গ্রামের সন্তু মিয়ার ছেলে ও নিহত নারীর দেবর।
যারা মারা গিয়েছেন, তাঁরা হলেন, ময়না আক্তার (২৫), তার মেয়ে রাইসা আক্তার (৭) ও ছেলে নীরব হোসেনের (২)।
সোমবার দুপুরে ময়মনসিংহের ভালুকা পৌর শহরের পনাশাইল এলাকার একটি বাসা থেকে ময়না আক্তার (২৫), তার মেয়ে রাইসা আক্তার (৭) ছেলে নীরব হোসেনের (২) গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, ভাড়া বাড়িতে স্ত্রী-সন্তান ও ছোট ভাই নজরুল ইসলামকে নিয়ে বসবাস করতেন রফিকুল ইসলাম।
রফিকুল বলেন, নজরুল আগের থেকেই একজন আসামি। গাজীপুরের একটি হত্যা মামলার আসামি হয়ে দুই বছর ধরে জেলে ছিলেন।
পরে তাকে ছাড়িয়ে আনা হয়।
ঘটনার মামলায় অজ্ঞাত আরও এক-দুজনকে আসামি করা হয়েছে। তবে প্রশাসনের ব্যর্থতা হলো নজরুল ইসলামকে এখনো খুঁজেই পায়নি পুলিশ।