ঢাকা: তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তো আর কম নয়।
২০০৭ সালে, বাংলাদেশ সরকার ঘুষ গ্রহণ ও অর্থ পাচারের অভিযোগে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে।
এতে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যবসায়িক লেনদেন এবং আন্তর্জাতিক মানি লন্ডারিং এর প্রমাণ উঠে আসে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) ও সিঙ্গাপুরের আদালতেও তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়। তদন্তে তার বিরুদ্ধে প্রায় ২০ মিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচারের অভিযোগ ওঠে।
মামলাকে যতই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করা হোক বিএনপিকে চেনে দেশবাসী।
২১ জুলাই ২০১৬ সালে উচ্চ আদালত মানি লন্ডারিং এর জন্য অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ২০ কোটি টাকা জরিমানা করে।
১০ই ডিসেম্বর ২০২৪ তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে আপিল বিভাগ।
এবং ২০২৫ সালের ৬ মার্চ, এই মামলায় সাত বছরের সাজা থেকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ কর্তৃক খালাস পান তিনি।
তারেক রহমান ও তার স্ত্রীর ঘোষিত আয়ের বাইরেও ৪ কোটি ৮০ লাখ টাকারও বেশি পরিমাণ অর্থের অবৈধ সম্পদ রয়েছে।
২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তারেক, তার স্ত্রী জোবাইদা রহমান ও জোবাইদা রহমানের মা সৈয়দা ইকবাল বানুর বিরুদ্ধে মামলাটি করে দুদক।
তারেক রহমানের তখন আত্মারাম খাঁচাছাড়া অবস্থা।
২০০৯ সালের ৩১ মার্চ তদন্ত কর্মকর্তা তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করেন। তবে পরে জোবাইদার মা সৈয়দা ইকবাল বানুর বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম বাতিল করা হয়। আদালত মামলার অভিযোগকারীসহ বাদীপক্ষের ৪২ জন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
মামলায় তারেক রহমানের নয় বছর কারাদণ্ড এবং তিন কোটি টাকা জরিমানা এবং তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানের তিন বছরের কারাদণ্ড ও ৩৫ লাখ টাকা জরিমানার রায় দেয় ঢাকার একটি আদালত।
একই সঙ্গে তারেকের প্রায় পৌনে তিন কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
তবে বিষয় হচ্ছে, ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে ইউনূসের ওস্তাদি প্রকাশ পায়।
জুবাইদা রহমানের সাজা আত্মসমর্পণ ও আপিলের শর্তে এক বছরের জন্য স্থগিত করে মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
এবং ২০২৫ সালের ২৮ মে এই মামলায় তারেক রহমান এবং জোবাইদা রহমান বেকুসুর খালাস করা হয়।
এখন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলায় বিচারিক আদালতের বিচারে নাকি অনেক অসঙ্গতি উঠে এসেছে।
হাইকোর্টের মতে, বিচারিক আদালতে দুই মাস চার দিনে ৪২ সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া এবং সাক্ষী শেষে আট দিনের মধ্যে রায় দেওয়ার এমন দ্রুতগতি ও সমাপ্তি ব্যাপকভাবে বিশ্বাস তৈরি করে যে, বিচার নিরপেক্ষভাবে হয়নি।