বগুড়া: গত এক বছরে সোনার বাংলাদেশের যে ভাষার শালীনতা, সব হারিয়ে গেছে।
মব সন্ত্রাস চালু হয়েছে, জীবন্ত মানুষকে ঝুলিয়ে হত্যা করা হচ্ছে, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে, ‘বুলডোজার সন্ত্রাস’ চালানো হচ্ছে। দখলদারিত্বের সর্বোচ্চ সীমা অতিক্রম করা হয়েছে এই এক বছরে।
এই নষ্ট রাজনীতির সংস্কৃতির চালুর দায় ইউনুস সরকার কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।
যারা অপরাধ করছে তারা আনন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ধরা হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
বগুড়া শহরে ঘরে ঢুকে ছুরিকাঘাতে দুই নারীকে হত্যার ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজনকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
তবে এই আটক নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
বৃহস্পতিবার ভোরে শহরের খান্দার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি ইকবাল বাহার।
আটক সৈকত হাসান (২০) বগুড়া পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইসলামপুর হরিগাড়ী এলাকার সোহেল ইসলামের ছেলে।
বগুড়া শহরে ঘরে ঢুকে দুই নারীকে ছুরি মেরে হত্যা করা হয়। এ সময় আরও একজন নারী আহত হয়েছেন।
বুধবার রাত সোয়া ৮টার দিকে পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইসলামপুর হরিগাড়ী এলাকায় নৃশংস এই ঘটনাটি ঘটে বলে বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর জানান।
নিহতরা হলেন- ইসলামপুর হরিগাড়ী এলাকার মৃত আব্দুল কুদ্দুস বুলুর স্ত্রী লাইলী বেওয়া (৮৩) এবং পারভেজ ইসলামের স্ত্রী হাবিবা ইয়াসমিন (২১)।
তাঁরা একটাই পরিবারের। দুজন সম্পর্কে দাদী শাশুড়ি এবং নাতি বউ।
ঘটনায় আহত হয়েছেন বন্যা। তিনি নিহত লাইলী বেওয়ার ছেলে বুলবুলের মেয়ে।
আহত বন্যার ফুফাতো ভাই মো. খোকন বলেছেন, “সৈকত নামে এক ছেলে বন্যাকে পছন্দ করে। সে প্রায়ই বিরক্ত করত। আজ সন্ধ্যায় বাড়িতে কোনো পুরুষ মানুষ না থাকায় সৈকতসহ আরও সাত-আটজন ঘরে প্রবেশ করে।
“তখন বন্যার ভাবী হাবিবা তাদের গালিগালাজ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা প্রথমে হাবিবাকে গলায় ছুরিকাঘাত করে। এরপর লাইলী বেওয়াকেও গলায় ছুরিকাঘাত করা হয়। এ সময় বন্যা ছুটে এলে তার পেটেও ছুরিকাঘাত করে তারা পালিয়ে যায়।”