ঢাকা: যে উদ্যানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, সেই উদ্যানে মুক্তিযুদ্ধবারোধী দল সমাবেশ করতে চলেছে!
এটাই ৫ আগস্টের ফলাফল! এটাই শেখ হাসিনাহীন বাংলাদেশ।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ স্বাধীনতার ডাক দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
এই উদ্যানেই ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি পাকিস্তানি সেনারা আত্মসমর্পণ করে।
আবার এই উদ্যানেই পাকি বীজেরা উদ্বেলিত হবে আগামিকাল! এই ঘৃণা রাখবে কোথায় বাংলাদেশ?
একটা রাজনৈতিক দলের সমাবেশের জন্য স্পেশাল ট্রেন দেয় কিভাবে? জামায়াতের সমাবেশ তো মনে হচ্ছে না, মনে হচ্ছে ঈদ!
তাদের হাতে ক্ষমতা গেলে জনগণের অবস্থা কি হবে একবার ভাবুনতো? অবশ্য যাবার আগেই চলে গেছে!
১৯ জুলাই রাজধানীতে সমাবেশের ডাক দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। সে উপলক্ষে দলটি ১০ হাজার বাস রিজার্ভ করেছে, এবং রেলওয়ের কাছ থেকে ৬ বিশেষ ট্রেন বরাদ্দ নিয়েছে।
জনগণ উচ্ছন্নে যাক, ট্রেন না পাক। সমস্যা নেই।
এমনিতেই বাংলাদেশে ট্রেনের হাল একদম শোচনীয়। মানুষ ট্রেনের টিকেট পায় না, তার মধ্যে একদিনে পুরো ছয়টি ট্রেইন রির্জাভ দিয়ে দেয়া হলো জামায়াতকে? জনগণের ভোগান্তির কথা একবার চিন্তা করা হলো না?
অবশ্য চিন্তা করার আছেই কে? জামায়াত শিবিরেরই তো সরকার।
আগামিকাল, শনিবার (১৯ জুলাই) ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ করবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
সমাবেশে বিশিষ্ট ধর্ম ব্যবসায়ী নেতাকর্মীরা যোগদান করবেন! ফলে তিন জোড়া বিশেষ ট্রেন ভাড়া করেছে দলটি।
এ ট্রেনগুলো শুধু যাওয়া আসা করবে রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ-ঢাকা-সিরাজগঞ্জ এবং ময়মনসিংহ-ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে।
সমাবেশে যোগদানের জন্য শুক্রবার (১৭ জুলাই) দিবাগত রাত ১টায় রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে মধুমতি এক্সপ্রেস (৭৫৫/৭৫৬) ট্রেন যাত্রা করবে।
শনিবার সকাল ৬টায় ঢাকায় পৌঁছাবে। এছাড়া একই দিন রাত ৮ টা ১৫ মিনেটে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেন।
ট্রেনটি উভয়পথে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, হরিয়ান ও সরদহরোড স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে।
চিঠিতে বলা হয়, সিরাজগঞ্জবাজার-ঢাকা-সিরাজগঞ্জবাজার রুটে চলাচলকারী ৭৭৫/৭৭৬ নম্বর ট্রেনটি শনিবার সকাল ৬টার দিকে সিরাজগঞ্জবাজার থেকে ছাড়বে এবং সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে ঢাকায় পৌঁছাবে।
সমাবেশ শেষ হলে রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা থেকে ছেড়ে সিরাজগঞ্জবাজার পৌঁছাবে ভোর ৩টা ৩০ মিনিটে। এছাড়া ময়মনসিংহ-ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটেও এক জোড়া বিশেষ ট্রেন চলাচল করবে।
জামায়াতে ইসলামীর রাজশাহী মহানগরীর সেক্রেটারি ইমাজ উদ্দিন মন্ডল বলেন, রাজশাহী থেকে মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেন ভাড়া করা হয়েছে।
পুরো টেনে ১৪টি বগি থাকবে। আমরা ট্রেনের ১ হাজার ১৭৯টি টিকিটের মূল্য হিসেবে প্রায় ১২ লাখ ৬ হাজার টাকা পরিশোধ করে রশিদ করেছি।
জামায়াতের তো অর্থের অভাব নেই। চাঁদাবাজির টাকা, ধর্ম ব্যবসার টাকায় এরা ফুলেফেঁপে লাল।
জামায়াতের রাজনীতি শুধুই ষড়যন্ত্র আর চাঁদাবাজির উপর ভর করে টিকে আছে।
যেখানে সাধারণ মানুষ জীবন-জীবিকা নিয়ে লড়াই করছে, সেখানে জামায়াত নেতারা ক্ষমতা আর ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি করছে।
আর এখন তো মহা সমাবেশ করছে।