ঢাকা: আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে দেশে গণতান্ত্রিক পথ বন্ধ করতে চায় ইউনূস আর তার বাহিনী। এই দেশে কোন নির্বাচন না দেওয়ার অপচেষ্টার চূড়ান্ত ধাপ এটাই।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করাসহ তিন দফা দাবিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চলমান আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে আজ শনিবার সন্ধ্যায় উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সন্ধ্যায় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায়।
যদিও বৈঠকের আলোচ্যসূচি সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেননি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এনসিপির তিন দফা দাবিগুলো হলো—সব সহযোগী সংগঠনসহ আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে আওয়ামী লীগের দলগত বিচারের বিধান যুক্ত করা ও জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করা।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে কী হবে?
আওয়ামী লীগ শুধু একটি রাজনৈতিক দল নয়—এটি বাংলাদেশের মাটি, মানুষ, ইতিহাস ও চেতনায় গভীরভাবে প্রোথিত। ঘরে-বাইরে, মাঠে-ঘাটে, আকাশ-বাতাসে আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব আছে। এই দলের গন্ধ মিশে আছে জাতির শিরায়-শিরায়।
১৯৭৫-এর পরে জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগকে নির্বাচনেও অংশ নিতে দেননি, প্রতীক ‘নৌকাও’ কেড়ে নিয়েছিলেন। তবুও দলটি থেমে যায়নি। ঘুরে দাঁড়িয়ে আজ দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে তুলেছে।
এই দলই দেশ স্বাধীন করেছে, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বারবার লড়েছে। আওয়ামী লীগ সব সময় দেশ ও জনগণের স্বার্থে কাজ করেছে। ষড়যন্ত্র বারবার এসেছে, খুনিরা আঘাত করেছে, তবুও আওয়ামী লীগ পথ হারায়নি।