ঢাকা: গোপালগঞ্জে গণহত্যা চালিয়েছে সেনাবাহিনী। নির্ভেজাল মানুষগুলোকে গুলি করে হত্যা করেছে।
এবং তাদের লাশ দ্রুত গুম করার জন্য, প্রমাণ লোপাটের জন্য কোনোরকম ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়েছে আইন অমান্য করে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এখন বলছেন, দরকার হলে গোপালগঞ্জে সহিংসতায় নিহতদের ময়নাতদন্ত করা হবে!
প্রয়োজনে কেন বলছেন অথর্ব স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা? অস্বাভাবিক মৃত্যু হলেইতো তার পোস্টমর্টেম করানো অত্যাবশ্যক।
ময়নাতদন্ত করা না হলে ঘটনার সঙ্গে জড়িত বা অপরাধীদের সাজা দেওয়ার সুযোগটা কমে যাবে। ধরা না পড়ার জন্যেই তো এই ব্যবস্থা নিয়েছে এরা।
গোপালগঞ্জে গত ১৬ জুলাই জঙ্গী ইউনুস সরকারের লেলিয়ে দেয়া পুলিশ- সেনাবাহিনীর নির্বিচারে গুলিতে যেসব মানুষ মারা গেছেন তাদের ময়নাতদন্ত ছাড়াই সৎকার ও দাফন করে জঙ্গী বাহিনী প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা চালিয়েছে।
সমালোচনা হতেই এখন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলছেন তা প্রয়োজনে হবে। কেমন বদমায়েশ এই লোক। মুসলিমদের না হয় কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্ত করবেন, কিন্তু হিন্দুদেরতো সৎকার ( শ্মশানে দাহ) করা হয়ে গেছে। তাদের পোস্টমর্টেম কেমনে করবেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা?
জবাব আছে কিছু? দীপ্ত সাহার ময়নাতদন্ত কীভাবে করবেন তিনি?
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর কথাবার্তার লাইন কোনোদিন খুঁজে পাওয়া যায়না।
তিনি বলেছেন, “ময়নাতদন্ত, ঢাকার যেটা আছে, সেটার ময়নাতদন্ত হচ্ছে। আর কয়েকটা ডেডবডি তারা নিজেরা নিয়ে চলে গেছে, ময়নাতদন্ত কীভাবে হবে?
“ওইগুলোর যদি দরকার হয়, ময়নাতদন্ত হবে। প্রয়োজনে উত্তোলন করেও ময়নাতদন্ত করা যায়।”
নিজেরা নিয়ে চলে গেছে? নাকি আপনারাই জোর জবরদস্তি করেছেন?
শনিবার ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।