জঙ্গী টোকাইদের ‘কিংস পার্টি’ নতুন ‘গজায়মান’ রাজনৈতিক দল ( নিবন্ধনহীন) এনসিপিকে রক্ষায় শেষ পর্যন্ত জাতিসংঘের ভাড়াটিয়া ( বাংলাদেশ সেনাবাহিনী) সেনাসদস্যই ভরসা ।

এমন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সাম্প্রতিক কর্মকান্ডে। আর সেনা প্রধান ওয়াকার-উজ-জামান, সেনাবাহিনীর মধ্যেকার জঙ্গী সেনা কর্মকর্তা ও সেনাসদস্য ও ইউনুস সরকারও মরিয়া হয়ে উঠেছে যেনতেনভাবে এই কিংস পার্টিকে রক্ষা করার জন্য।

কিংস পার্টির টোকাই দলের নেতারা যেখানেই যাচ্ছেন সেখানেই সেনাবাহিনী তাদের পাহারাদার হয়ে উঠছে। এসব কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে সেনাবাহিনী পাহারাদার বা চৌকিদার বাহিনীতে পরিণত হয়ে উঠেছে।

রাষ্ট্রের নিরাপত্তা নয়, যেনো এই টোকাইদের ভিআইপি মর্যাদা দেয়াটাই মুখ্য দায়িত্ব হয়ে পড়েছে সেনাবাহিনীর জন্য। এর চেয়ে লজ্জার আর কি হতে পারে ?

বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান ও তার সমাধিস্থল গোপালগঞ্জে গত ১৬ জুলাই নিবন্ধনবিহীন রাজনৈতিক দল এনসিপি গিয়েছিল এই চৌকিদার বাহিনীর সহায়তায়।

কিন্তু সেখানে যখন বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে কটুক্তি ও বিষোদ্গারমূলক বক্তব্য ও শ্লোগান দিয়েছে তখনই এনসিপি’র সমাবেশে বিক্ষুব্ধ গোপালগঞ্জবাসী ধাওয়া দিয়ে সমাবেশ পন্ড করে দিয়েছে।

এ সময় এই জঙ্গী টোকাই পার্টিও নেতা-চেলাচামুন্ডাদের রক্ষায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ এসব বিক্ষুব্ধ-নিরস্ত্র জনতার ওপর হামলা চালায়। বেধড়ক গণপিটুনি, নির্যাতন ও নির্বিচারে গুলি চালিয়ে অন্ততপক্ষে ১৫ জনকে খুন করে।

এমনকি এক নিরস্ত্র যুবককে বেধড়ক পিটুনির পর বুটের পদাঘাতে নিষ্ঠুরভাবে পদপিষ্ট করে যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বাঙ্গালীদের ওপর হানাদার পাকবাহিনীকেও হার মানিয়েছে।

সেখানে জনতার তীব্র প্রতিরোধের মুখে টোকাই এনসিপি নেতাদেরকে আবার ওই পাহারাদার বাহিনী তাদের সুরক্ষিত এপিসি ( আর্মার্ড পার্সোনেল ক্যারিয়ার) তে করে জনরোষ থেকে রক্ষা করে খুলনা নিয়ে যায় সশস্ত্র পাহারা দিয়ে।

তবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও তার দল আওয়ামীলীগের পর এনসিপি ও জামায়াতের টার্গেট মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান ও তার দল বিএনপি। সেক্ষেত্রে বিএনপি এখন কি করবে তা তাদেরকেই নির্ধারণ করতে হবে। নাহলে বিএনপি অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে চরমভাবে।

গোপালগঞ্জে নাহয় বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা শেখ হাসিনার প্রচুর সমর্থক ও নেতাকর্মী রয়েছেন যারা বঙ্গবন্ধুর প্রতি সামান্যতম অসম্মানও সইতে পারেননি।

তার উপর এনসিপি’র নেতারা গোপালগঞ্জকে নিয়ে যেসব তীব্র আপত্তিকর কথাবার্তা বলেছে তা সহ্য হয়নি ওই জেলার সাধারণ নাগরিকদের। তাই সেদিন শুধু যে বঙ্গবন্ধু অনুসারিরাই ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন তা কিন্তু নয়।

সাধারণ জনতাও ক্ষিপ্ত হয়ে ধাওয়া করেছিল এই টোকাই জঙ্গী পার্টির নেতাদের। এর একদিন পরেই এই টোকাই পার্টি সমাবেশ করেছে গোপালগঞ্জের পার্শ্ববর্তী জেলা ফরিদপুরে। সেখানেও তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশের নবরুপান্তরিত পাহারাদার বাহিনীটি, তারা একেবারে যুদ্ধংদেহী মুডে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে।

কিন্তু গত ‘২৪ এর জুলাই-আগষ্টে কথিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের (বৈছাআ)’ সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বিএনপি রাজপথে শেখ হাসিনা ও আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে মরণপণ আন্দোলন করেছে সেই  বিএনপি’র সাথেও কিন্তু অতি সম্প্রতি বেশ ঝগড়া বিবাদ শুরু হয়ে গেছে।

এমনকি বেশ কয়েক জায়গায় মারামারিও হয়েছে ইদানীং। বিএনপি ও তার অংগসংগঠনকে এই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজনৈতিক দল এনসিপি নেতারা চাঁদাবাজ-দখলদার ইত্যাদি বলে গালিগালাজ করছে।

এই এনসিপির সাথে সুর মিলিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী জামায়াতে ইসলামী ও তাদের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরের নেতাকর্মীরাও বিএনপি-ছাত্রদল-যুবদলও তাদের অঙ্গসংগঠনকে একইভাবে গালিগালাজ করছে। অথচ এই বিএনপি-জামাত ও বৈছাআ একসাথেই কথিত ফ্যাসিবাদ আওয়ামীলীগ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন করেছিল।

শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করছি একারণে যে, সাংবিধানিকভাবে তিনি এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। কারণ তাঁর পদত্যাগপত্র কেউ দেখাতে পারেনি। আর বাংলাদেশের সংবিধান এখন পর্যন্ত বহাল রয়েছে।

শনিবার ( ১৯ জুলাই) রাজধানী ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একাত্তরের ঘাতক দল জামায়াতে ইসলামী বিশাল শো-ডাউন করেছে প্রচুর টাকা খরচ করে।

কিন্তু সেই সমাবেশে তাদের রাজনৈতিক মিত্র বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপিকে দাওয়াত দেয়নি। যা স্বাভাবিকভাবেই বিএনপি’র জন্য মনোকষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিএনপি’ র দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহযোদ্ধা একাত্তরের স্বাধীনতাবিরোধী দল জামায়াতে ইসলামী। বিএনপি যদিও দাবি করে তারা মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের দল।

দীর্ঘদিন তাদের রাজনৈতিক- সামাজিক- ব্যক্তিগত সখ্যতা ছিল, এখনো রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি তাতে ফাটল ধরেছে। একে অপরকে নানাভাবে কটুক্তি করে বক্তব্য দিচ্ছে।

শনিবার ঢাকায় জামায়াতের যে বিশাল শো-ডাউন হলো সেই সমাবেশে কিন্তু দীর্ঘদিনের মিত্র বিএনপিকে দাওয়াত দেয়া হয়নি। বিষয়টি স্বীকার করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।

শনিবার বিকেলে (১৯ জুলাই) দলের মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, জামায়াতের এই সমাবেশে বিএনপির কাউকে আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তবে এ ব্যাপারে জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের জানান, পিআরের পক্ষে থাকা দলগুলোকে কেবল এই জাতীয় সমাবেশে আমন্ত্রণ করা হয়েছে।

হাজার হোক এই দলটিকে ( জামাতে ইসলামী) বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমানই বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধুকে ’৭৫ এ হত্যার পর রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছিলেন।

তারপর থেকে এই জামাতের সাথে বিএনপির একধরনের গাঁটছড়া তৈরী হয়েছিল রাজনীতির মাঠে। এমনকি একসাথে নির্বাচন ও ক্ষমতায়ও ছিলেন। শুধু তাই নয় ২০০১ এর নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোট জেতার পর শিল্প, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী পদেও জামায়াতকে উপহার হিসেবে দিয়েছিলো বিএনপি’র চেয়ারপারসন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।

স্বাভাবিকভাবেই এটি বিএনপির জন্য মনোকষ্টের কারণ। সৌজন্য বলে একটি কথাতো রয়েছে। পাশাপাশি কৃতজ্ঞতাবোধ থেকেও জামায়াত সে কাজটি করতে পারতো এমনটাই বিএনপি নেতারা মনে করছেন। কিন্তু তা হয়নি। কারণ জামায়াত তো কৃতজ্ঞতাবোধ শেখেনি। তারা জানে রগ কাটতে। আর বন্ধুর পিঠে ছুরি বসাতে। এবার বিএনপি’র যদি একটু শিক্ষা হয় আরকি !

প্রসঙ্গত: পাঠকদের একটু স্মরণ করিয়ে দিতে চাই সেই ২০০১ এর বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালে চট্টগ্রামের সিইউএফএল জেটিতে দশ ট্রাকেরও বেশি সমপরিমাণ স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র, গ্রেনেড ও গোলাবারুদ আনার সুযোগ করে দিয়েছিলো তৎকালীন সরকার।

যেসব অস্ত্র-গোলাবারুদ মূলত ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সেভেন সিস্টার্সের উগ্রবাদী সশস্ত্র সংগঠন উলফার কাছে পাচার করার জন্য ওই জেটিতে খালাস করা হয়েছিল। তবে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার ইন্টারসেপ্টের ফলে সৌভাগ্যবশত তা ধরা পড়ে যায় এবং তা আটক করতে বাধ্য হয়েছিল বাংলাদেশ সরকার।

সেই জোট সরকারের শিল্পমন্ত্রী ছিলেন যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতা নিজামী। অবশ্য সরকার প্রধান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সম্মতিতেই এসব অস্ত্র গোলাবারুদ খালাস হয়েছিল।

পাশাপাশি ২০০৪ সালে ২১ আগষ্ট ঢাকায় সংসদে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় যে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা হয়েছিল তার সঙ্গে সিইউএফএল জেটিতে উদ্ধার হওয়া গেনেডের মিল ছিল।

উভয় গ্রেনেডই ছিল আর্জেস গ্রেনেড। এ হামলার সঙ্গে বিএনপি’র বর্তমান নির্বাসিত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের পরিকল্পনা ছিল এবং ইসলামী জঙ্গী সংগঠন হরকাতুল জেহাদের জঙ্গীরা জড়িত ছিল। জড়িত ছিল আরো অনেক বিএনপি নেতা।

যা বলছিলাম, বিএনপি- জামায়াত- এনসিপি বন্ধন ও ফাটল প্রসঙ্গ নিয়ে। ক্ষমতার প্রশ্নে বিএনপি’র সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিনের মিত্র বা পেয়ারে দোস্ত জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে গত কয়েকমাসে ব্যাপক বিরোধ দেখা দিয়েছে।

এমনকি তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ফাঁকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির ও এনসিপি তাদের মিছিল থেকে অত্যন্ত বাজে ও কটু স্লোগানও দিয়েছে। যা ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। শুধু তাই নয়, এনসিপি নেতারা সারাদেশের বিভিন্ন সমাবেশেই বিএনপি ও তারেক জিয়া সম্পর্কে নানা কটুক্তি করে যাচ্ছে।

এর ফলে চব্বিশের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আন্দোলন করা বন্ধুদের মধ্যে ব্যাপক বিরোধ ও ফাটলই শুধু নয় এখন একপক্ষ অপর পক্ষকে মারধরও করছে।

·কক্সবাজার ও চকোরিয়ায় বিএনপি-এনসিপি সংঘর্ষ।

কক্সবাজারের চকরিয়া পৌর শহরের জনতা শপিং সেন্টার চত্বরে করা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পথসভা মঞ্চ ভেঙে দিয়েছে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা।

ট্রাকের ওপর মঞ্চটি করা হয়েছিল। আজ শনিবার বিকেল পৌনে চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ গিয়ে বেধড়ক পিটুনি দিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে। শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে সেখানে পথসভায় বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের।

বিএনপির নেতা-কর্মীরা বলেন, শনিবার দুপুরে কক্সবাজার শহরে এক সমাবেশে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য দেন। এটি বিএনপির নেতা-কর্মীদের হৃদয়ে আঘাত করেছে।

এই বক্তব্যের পর চকরিয়াসহ কক্সবাজার জেলায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা রাজপথে নেমে প্রতিবাদ করেন। বিকেল চারটা থেকে চকরিয়ায় মহাসড়কে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মিছিল শুরু হয়। তারা সালাহউদ্দিনের পক্ষে স্লোগান দিতে থাকেন।

এনসিপির নেতা নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘আবার নাকি সে সংস্কার বুঝে না। নাম না বললাম। কক্সবাজারের জনতা এ ধরনের সংস্কারবিরোধী, যে পিআর বুঝে না, রাজপথে তাদেরকে ঠেকিয়ে দেবে ইনশাআল্লাহ।’ এদিকে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বক্তব্যে কক্সবাজার জেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠন এবং দলের নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবাদ করেছেন।

বিএনপির নেতাকর্মীদের দাবি, অবিলম্বে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীকে ক্ষমা চাইতে হবে এ বিষয়ে। পরে কক্সবাজারের চকরিয়ায় সড়কে বিক্ষোভ করে বিএনপি’র বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা, যারা সালাউদ্দিন আহমদের ঘোর সমর্থক। অন্যান্য উপজেলায়ও বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে বিএনপি।

এখানেও দেখা গেছে সেই ‘ দেশপ্রেমিক’ লাঠিয়াল বাহিনী যারা এনসিপি’র পাহারাদার হিসেবে নিজেদের পরিচিতি দিয়েছে নানা কর্মকান্ডের মাধ্যমে সেই সেনাবাহিনী বিএনপি’র বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীকে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে সরিয়ে দিয়েছে চকোরিয়ার রাস্তা থেকে।

প্রসঙ্গত: আগামী সংসদ নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে চায় এনসিপি ও জামায়াতসহ বেশ কয়েকটি দল। অন্যদিকে বিএনপিসহ কয়েকটি দল এর বিরোধিতা করে আসছে। শুক্রবার ঢাকার মিরপুরে বিএনপির এক সমাবেশে পিআর পদ্ধতির সমালোচনা করে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন।

সেদিন কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক এ সংসদ সদস্য বলেন, “যারা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন ও আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় তাদের ‘অসৎ উদ্দেশ্য আছে’। এই পিআর নিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদের বক্তব্যের বিরোধীতা করতে গিয়ে তার দিকে ইঙ্গিত করে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, “নাম না বললাম।

তিনি নাকি আবার সংস্কার বোঝেন না। “কক্সবাজারের জনতা এ ধরনের সংস্কারবিরোধী এবং পিআর না বোঝা ব্যক্তিদের রাজপথে ঠেকিয়ে দেবে ইনশাআল্লাহ।”

যতদূর জানা গেছে পরে সেনাবাহিনী কঠোর পাহারা দিয়ে এনসিপি’র গাড়ি বহরকে চকরিয়া পার করে তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দিয়েছেন।

· গণতন্ত্র-ভোট না চাইলে রাজনীতি করার দরকার কি: আমীর খসরু।

যারা গণতন্ত্র চান না, তাদের তো কেউ রাজনীতি করতে বলেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নির্বাচনের প্রক্রিয়া থেকে কেউ যদি সরে দাঁড়াতে চায়, তাদের মেসেজ দিতে হবে বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্র চায়, বাংলাদেশের মানুষ তার দেশের মালিকানা ফিরে পেতে চায়।

আর আপনারা যারা গণতন্ত্র চান না, তাদের তো কেউ রাজনীতি করতে বলেনি। এসব কথা তিনি মূলত জামায়াত ও এনসিপিকে উদ্দেশ্য করেই বলেছেন। প্রবীন এই রাজনীতিবিদ বলেন-আপনারা যারা ভোট চান না, তাদের রাজনৈতিক দল করার দরকার কী!

তিনি শনিবার (১৯ জুলাই) দুপুরে নগরীর লালখান বাজার সংলগ্ন লেডিস ক্লাবে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শাখার ত্রি বার্ষিক সন্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

এনসিপি আহবায়ক নাহিদ ইসলামের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়ে প্রবাসী চিকিৎসক প্রভাতী দাস আক্ষেপ করে বলেছেন, এই সব কথার মানে কি, উনি কেন গোপালগঞ্জ বাসীর সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন এইভাবে?

উনাদের সমাবেশ করতে গোপালগঞ্জ কেন যেতে হবে, তাও আবার প্রকাশ্যে যুদ্ধ ঘোষণা দিয়ে, বঙ্গবন্ধুর কবর গুঁড়িয়ে দেবার অঙ্গিকার করে, সেনা সাজবহর নিয়ে!

গোটাদেশে এনসিপি’ র মিছিল-মিটিংয়ে কয়জন লোক হয় আজকাল? সেনা সদস্য বা পুলিশ ছাড়া উনারা বাংলাদেশের কোন্ জেলায় গিয়ে পিটানি না খেয়ে ফিরে আসতে পারবেন? গত এক বছর ধরে মব ছাড়া, ভাঙা ছাড়া, ধর্ষণ, খুন চাঁদাবাজি ছাড়া উনারা কি দিয়েছেন দেশকে?

প্রবাসী এই চিকিৎসক প্রশ্ন তুলে বলেছেন-এনসিপি- জামাত যে বিক্ষোভ এর আয়োজন করেছে, তা প্রতিরোধে সেনাবাহিনীর কোন প্ল্যান আছে কি? না জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের সদস্যরা এনসিপি এবং জামাতের সাথে মিলে নিরীহ গোপালগঞ্জ বাসীর বিরুদ্ধে আবার সশস্ত্র যুদ্ধে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন!

গোপালগঞ্জবাসী সাহসী, বঙ্গবন্ধু তাদের হৃদয়ে কিন্তু তাদের নিরাপত্তা নিয়ে আমি আতংকিত, দেশের ছোট্ট একটি শান্তিপূর্ণ জনপদের বিরুদ্ধে এই আক্রমণ দেখেও আজ যারা নিশ্চুপ,

তারা নিশ্চিত থাকুন চন্দ্রিমা উদ্যানে মুক্তিযোদ্ধা জিয়ার মাজার বা রংপুরে হোসেইন মোহাম্মদ এরশাদ সাহেবের বাড়ি/ঘর/কবরস্থান এর পরের টার্গেট। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির একজোট বাঁধার সময় কি এখনও হয়নি, এখনই কি সময় নয় এই সন্ত্রাসীদের রুখে দেবার!

# রাকীব হুসেইন, প্রাবন্ধিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *