গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জের ঘটনার পর থেকে সেনাবাহিনীর উপর যে জনগণের আস্থা ছিলো সেটা‌ একদম শূন্যে গিয়ে ঠেকেছে।

কারণ সেনাবাহিনীর কার্যক্রম এরকমই দেখা‌ যাচ্ছে। পাক বাহিনীও এত সাহস দেখায়নি যতটা দেখাচ্ছে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী।

এনসিপিকে পাহারা দেয় – সেনাবাহিনী
জামায়াতের সমাবেশে গাড়ি দেয় – সেনাবাহিনী
সাধারণ জনতার উপর গুলি চালায়- সেনাবাহিনী

গোপালগঞ্জের গণহত্যায় – সেনাবাহিনী
গোপালগঞ্জে যুদ্ধের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে – সেনাবাহিনী
রাজাকার প্রতিষ্ঠাতায় – সেনাবাহিনী
মুক্তিযুদ্ধের ম্যুরাল ধ্বংসে- সেনাবাহিনী
৩২ ভাঙ্গায় – সেনাবাহিনী

আরো তালিকা চাই? এই সেনাবাহিনীতে যুক্ত জামাত। যাদের কথায় উঠছে আর বসছে বাহিনী।

যে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে , সেটি হলো জামায়াতের সমাবেশে গাড়ি কীভাবে দিলো সেনাবাহিনী?

তবে এই বিষয়টিকে ধামাচাপা দিচ্ছে আইএসপিআর।

তারা বলছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্টিকারে রাজনৈতিক দলকে পরিবহন সহায়তা দেওয়া ‘সঠিক নয়’।

“কিছু গণপরিবহন চুক্তি শেষের পরও কিছুটা সুবিধা পেতে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে সেনাবাহিনীর নাম বা লোগো রেখে দেয়, যা আইন বহির্ভূত,” বলা হয় বিবৃতিতে।

শনিবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, “সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্টে দাবি করা হয়েছে যে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি রাজনৈতিক দলকে তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য বাস সরবরাহ করেছে।

“এই পোস্ট সম্পূর্ণ মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বিভ্রান্তিকর, যা সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার সুস্পষ্ট অপচেষ্টা।”

একটি স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে উল্লেখ করে আইএসপিআর বলছে, “কিছু গণপরিবহন সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাদের চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ার পরও সড়কে কিছুটা সুবিধা পাওয়ার উদ্দেশ্যে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে সেনাবাহিনীর নাম বা লোগো রেখে দেয়। কাজটি আইন বহির্ভূত।”

এ ব্যাপারে বিভ্রান্ত না হতে এবং যাচাই-বাছাই ছাড়া কোনো তথ্য শেয়ার না করার জন্য সাধারণ জনগণকে অনুরোধ জানিয়েছে আইএসপিআর।

তবে এই কথার সত্যতা কোথায়? সেনাবাহিনী আর জামাতকে এখন আলাদা করি যাচ্ছে না।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রশাসনে সাংবিধানিক দায়-দায়িত্ব পালন একেবারেই অবহেলিত। গোপালগঞ্জে সেটা প্রমাণিত।

সেনার গণহত্যায় নিহতদের পোস্টমর্টেম/ ময়নাতদন্ত না করে দাফন/সৎকার করার অনুমতি কোন আইনে দেওয়া হল ? কেন দাফন করার জন্য পাগল হয়ে গেলো?

গোপালগঞ্জের ডিস্ট্রিক ম্যাজিস্ট্রেটের এ বিষয়ে জবাব কি?

এমনকি গোপালগঞ্জের ঘটনা-পরবর্তী বিবৃতিতে সরকার ও সেনাবাহিনী – কেউ ঐ মৃতদের সংখ্যা ও নাম ঠিকানা উল্লেখ করেনি। এমনকি সংশ্লিষ্ট থানাও জানে না তার এলাকায় ঐদিন কতজন নাগরিকের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটেছে !

পরে এই মৃত্যু নিয়ে প্রশাসন বলবে, অস্বাভাবিক মৃত্যু হলে তো ময়নাতদন্ত হতো!

কখনও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত হলে নিরস্ত্র মানুষকে গুলি করার কোন দালিলিক প্রমাণ থাকবে না। জঙ্গী বাহিনী তো তাই চেয়েছে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *