বান্দরবান: হাতি ঘোড়া গেলো তল, মশা বলে কত জল! এই টোকাই মশার নিজের উৎপাতের কারণে আজ এক এক করে সারা বাংলাদেশে অবাঞ্ছিত হবে।

গোপালগঞ্জে তো ধাওয়া খেয়ে সেনাবাহিনীর নিরাপত্তায় ঘরে ফিরেছে। এবার বান্দরবানে অবাঞ্ছিত এনসিপি।

কোটা ছিল ধোঁকা,জনগণকে বোকা বানিয়ে এখন লুটপাট করছে। পুলিশ, সেনা বহর ছাড়া তো এরা এক পা বাইরে দিতে পারে না। এক একটা পদযাত্রা যেন এক একটা যুদ্ধক্ষেত্রের প্রস্তুতি।

সোনার বাংলা ধ্বংস কইরা,টোকাই হইল নেতা!

বান্দরবান ক্ষিপ্ত সারজিস আলমের বিরুদ্ধে। সারজিসসহ এনসিপির এই পাতি নেতাদের একজনেরও মুখের ভাষার গণনা নেই। খেলার বয়সে নেতা হলে এই দশাই হয়।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে পার্বত্য অঞ্চলের প্রতি চরম অবমাননার অভিযোগ তুলেছে জেলার ছাত্র নেতারা। জনগণও ক্ষুব্ধ!

সারজিস ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত বান্দরবানে তার উপস্থিতি ও এনসিপির সব কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে তারা।

রোববার (২০ জুলাই) দুপুরে বান্দরবান প্রেসক্লাবে ‘ছাত্র সমাজ’র ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন বান্দরবানের ছাত্র নেতারা।

তারা বলেন, গত ৩ জুলাই পঞ্চগড়ের জুলাই পদযাত্রা চলাকালে এনসিপি নেতা সারজিস আলম এক বক্তব্যে বান্দরবানকে ‘শাস্তিস্বরূপ চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের পাঠানোর জায়গা’ হিসেবে উল্লেখ করেন। এই মন্তব্য চরম নিন্দনীয়, অবমাননাকর।

একজন নেতার মুখে এই ধরনের কটূক্তি একটি জেলার মর্যাদাকে হেয় করার পাশাপাশি পুরো পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রতি রাষ্ট্রীয় বৈষম্য ও অবহেলার নগ্ন বহিঃপ্রকাশ।

সংবাদ সম্মেলনে ছাত্র সমাজের নেতারা আরও বলেন, এ বিষয়ে ক্ষমা চাওয়ার জন্য আমরা স্থানীয় এনসিপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করি।

তারা আমাদের আশ্বস্ত করেন, ১৯ জুলাই বান্দরবানে অনুষ্ঠিত ‘জুলাই পদযাত্রা’ অনুষ্ঠানে সারজিস জনসম্মুখে ক্ষমা চাইবেন। তখন আমরা কোনো প্রতিবাদ কর্মসূচিতে না গিয়ে শান্ত থেকেছি।

তবে সারজিস উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিতই ছিলেন না এবং দলের কোনো কেন্দ্রীয় নেতা এই বিষয়ে একটি বাক্যও বলেননি। বরং অনুষ্ঠান শেষে আমরা মঞ্চে গিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের বিষয়টি স্মরণ করালে তারা কর্ণপাত না করে অনুষ্ঠান স্থল ত্যাগ করেন।

তারা আরও বলেন, ছাত্র সমাজ, সারজিসের বক্তব্যে ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত। বান্দরবান কোনো বিচ্ছিন্ন ভৌগোলিক অঞ্চল নয়-এটি জাতিগত, সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিকভাবে সমৃদ্ধ এক জনপদ।

এখানকার মানুষ শান্তিপ্রিয়, আত্মমর্যাদাসম্পন্ন ও অধিকার সচেতন। এই জেলার মর্যাদাকে অপরাধীদের শাস্তির স্থান হিসেবে উল্লেখ করা মানে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষকে অপমান করা।

সংবাদ সন্মেলনে ছাত্র নেতা আসিফ ইসলাম বলেন, সারজিস ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত বান্দরবানে এনসিপির সকল কার্যক্রম ও তার উপস্থিতি সম্পূর্ণভাবে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো।

ইউনূসের পালিত জঙ্গীবাহিনী ধীরে ধীরে সারা বাংলাদেশে অবাঞ্ছিত হবে, আটদিনের দলের কর্মকাণ্ড তাই বলছে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *