গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জে পাক সেনাবাহিনীর আদলে গণহত্যা, গণ নির্যাতন, মানবাধিকার চূড়ান্তভাবে লঙ্ঘন করেছে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী।

মানুষকে পিষে, গুলি করে মেরেছে এই সেনারা! তাদের কোনো অধিকার আছে মানুষ মারার?

অথচ জামাত শিবির, ইউনূসের হয়ে কাজ করেছে এরা। শুধু তাই নয়, এখনো নির্যাতন অব্যাহত রাখা হয়েছে।

পুলিশ-সেনা অভিযানে গোপালগঞ্জের ৯ জন শিশুসহ মোট ২৭৭ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সংখ্যাটা আরো বেশি হতে পারে। তাছাড়াও দরজায় টোকা পড়ছে সেনার পুরুষ আছে কিনা! পুরুষশূন্য করার অপপ্রয়াস চলছে সেখানে।

গোপালগঞ্জে কিংস পার্টি এনসিপিকে রক্ষা করতে সাধারণ মানুষের উপর সেনাবাহিনী গুলি করেছে,সেনা হয়ে উঠেছে চকিদার।

কিন্তু দেখা গেলো কক্সবাজারে এনসিপির মঞ্চ ভাংচুর,সমাবেশ বন্ধ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হলো। এতোকিছু হওয়ার পর সেনাবাহিনী পুলিশ চুপ হয়ে গেলো কেন? বিএনপিকে ভয় পায়?

গোপালগঞ্জে শুধু সেনার বুক চওড়া কেন? বঙ্গবন্ধু বিদ্বেষ একমাত্র কারণ!

বঙ্গবন্ধু যদি দেশ স্বাধীন না করতেন এদের মতো সেনা অফিসারদের সৈনিক হয়ে অবসর নিতে হতো, আর সৈনিকদের সেনাবাহিনীর চাকরি তো দূরের কথা অধিকাংশের দিন হাজিরা করে, ভিক্ষা করে খেতে হতো।

আর এখন সেনাবাহিনীর চাকরি করে হয়েছে দলদাস।

আর সেই গণহত্যাকারী সেনাবাহিনীর পক্ষ হয়ে মলম দিচ্ছেন মিথ্যাবাদী স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

তাঁর কথা বঙ্গবন্ধু সৈনিকদের মনে জ্বালা ধরায়। এত মিথ্যা আর বানোয়াট কথা তিনি বলেন!

পরিস্থিতির কারণে নাকি গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনী গুলি করেছে! জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

কক্সবাজারে তাহলে সেনার এই রূপ কেন? সে বিষয়ে টু শব্দ নেই তাঁর।

প্রশ্ন আসছে, পরিস্থিতি কী গোপালগঞ্জবাসী তৈরি করেছিলো, নাকি উস্কানি দিয়েছিলো টোকাইরা!?

রোববার (২০ জুলাই) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সঙ্গে বৈঠকের পর উপদেষ্টা সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, গোপালগঞ্জে ঘটনা যে ঘটেছে সেটি তো আমি অস্বীকার করছি না। এটা তো রাজনীতি। রাজনীতি করতে গেলে তো অনেক কিছু অনেক সময়… আগে যখন আমরাও (রাজনীতি) করেছি তখন ইউনিভার্সিটিতে তো কত ধরনের ঘটনা হয়েছে।

ঘটনার পরে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কি না সেটি হচ্ছে আমাদের কথা, আমরা ব্যবস্থা নিতে পারছি কি না।

তাঁর কথায় মনে হলো, গোপালগঞ্জের জনগণ মশা মাছির মতো। মরলেও কী বাঁচলেও কী!?

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *