ঢাকা: এর আগেও অন্তর্বর্তী সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছিলেন অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এর আগে খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ এবং সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি স্পষ্ট ভাষায় তুলে ধরেছেন, বিশ্বব্যাংকের হিসাবে অন্তর্বর্তী সময়কালে আরও ২৭ লাখ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে গেছে, যার বড় অংশ নারী।
ড. দেবপ্রিয় বলেন, ‘আপনি চিন্তা করে দেখেন, এই সরকারের সময়কালে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের হিসাবে ২৭ লাখ মানুষ আরও বেশি দরিদ্র হয়ে গেছে।
আর ওই দরিদ্র মানুষের ভেতরে ১৮ লাখ হলো নারী। আপনি আমাকে কী বৈষম্যবিরোধী শিখাচ্ছেন, নতুন সরকার! এই সরকারকে এই বাজেটে বলতে হবে গত সময়ের থেকে ভিন্ন কী তারা করল?
ওই দুই টাকা বাড়িয়েছে এখানে, চার টাকা কমিয়েছে এখানে—এই আলোচনায় মন ভরবে না। আমি আগে তো বলেছি যে, তিনটি বড় বড় চ্যালেঞ্জ নিয়ে সরকার এসেছিল— ভিত্তিভূমিকে নির্দিষ্ট করা; স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে কিছু নিয়ে আসা এবং সংস্কারের পথের প্রতিবন্ধকতাগুলো চিহ্নিত করা”।
এবার মিষ্টি ভাষায় ব্যঙ্গ করে উড়িয়ে দিলেন ইউনূসকে।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রমে মনে হচ্ছে আমরা এমন একটা অত্যন্ত নিরপরাধ, নির্দোষ ও নিষ্পাপ সরকারকে সঙ্গে নিয়ে সামনে আগানোর চেষ্টা করছি।’
আজ রোববার ‘যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক: কোন পথে বাংলাদেশ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে শুল্ক নিয়ে দর-কষাকষিতে সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এই কথাগুলো বলেন।
এই অন্তর্বর্তী সরকার আসলে মানুষখেকো। দেশখেকো। দেশের রক্ত চুষে খেয়ে কঙ্কাল বানিয়ে ছেড়ে দেবেন ইউনূস।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমরা এখানে বসে এত কিছু বুঝি আর ওনারা (সরকারে থাকা ব্যক্তিরা) বোঝেন না, আমার কাছে তো এটি আশ্চর্য লাগে। এ জন্যই বললাম এত নির্দোষ, নিরপরাধ ও নিষ্পাপ সরকার আমি দেখিনি।
বর্তমানে (শুল্ক নিয়ে আলোচনায়) আমরা একটা কর্দমাক্ত অবস্থায় রয়েছি। তবে সবাই মিলে ওই ঘাটতি পূরণ করতে পারব, এই ভরসায় আছি।’
ওয়ামী সরকারের কথাও তিনি উল্লেখ করেন। কিন্তু এই সরকার বিভীষণ!
বলেন, ‘আমি একাধিক সরকারের সঙ্গে কাজ করেছি। আগের সরকারের সমস্যা ছিল তারা হয়তো কোনো বিষয়ে জানত না। এরপর আমরা কিছু নিয়ে গেলে ওনারা বলতেন, ও তাই নাকি? আচ্ছা আমাদের পরামর্শগুলো দেন, বাস্তবায়ন করি।
আর এখনকার সরকারের কাছে গেলে তারা বলে, এগুলো তো সব জানি। এসব নিয়ে আপনারা কোনো চিন্তা করবেন না।’
এখনকার সবজান্তা সরকারের প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করেন তিনি।