ঢাকা: এনসিপি জঙ্গী বাহিনী বঙ্গবন্ধুবিরোধী, বলতে হবে এরা বাংলাদেশ বিরোধী। দেশ গড়ার নামে তাদের পদযাত্রা পুরোটাই ষড়যন্ত্র।

জনগণ ক্ষেপে উঠেছে এনসিপির বিরুদ্ধে। যেখানেই যাচ্ছে সেখানেই এনসিপি বিরোধী স্লোগান উঠেছে।

আসলে বঙ্গবন্ধু এমন এক নাম, যা বাংলার রক্তে মিশে আছে। তার সমাধি যারা ভাঙতে চেয়েছে তাদের হাড়গোড় এখন ভেঙে যাচ্ছে। জনগণ তীব্র প্রতিবাদী হয়ে উঠেছে।

প্রশাসন তো এনসিপির গোলাম!
গত বছর এই এনসিপি বাংলাদেশের হাজার হাজার পুলিশকে হত্যা করেছে।আজকে এই পুলিশের উপর ভর করেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বাহ বাহ।

এদিকে ৩২ ভাঙ্গা হয় প্রশাসনের সামনে সেখানে তাদের নীরব ভূমিকা।ঢাকা শহরের অলিগলিতে ছিনতাই,সারা দেশে হত্যা,শিশু থেকে শুরু করে কেউই রক্ষা পাচ্ছেনা ধর্ষণ থেকে।

তা নিয়ে তাদের মাথা ব্যাথা নেই।আছে শুধু এনসিপির গোলামি করা নিয়ে।

এই মাটির সন্তান এবং রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তাঁর এলাকায় গিয়ে এনসিপি যদি ‘মুজিববাদ মুর্দাবাদ’ স্লোগান দেয়, যাওয়ার আগে তার কবর নিয়ে নানা উস্কানি দেয়, জেলা নিয়ে বাজে মন্তব্য করে, তাহলে আওয়ামী লীগ এবং গোপালগঞ্জ বাসীর রোষানলে পড়া কি অস্বাভাবিক কিছু?

এনসিপি নেতাদের সেনাবাহিনীর পাহারায় এলাকা ত্যাগ করতে হয়েছে।

রাষ্ট্র যদি নিজ প্রতিক্রিয়ায় সংযম হারিয়ে ফেলে, তাহলে গণতন্ত্রের পথ শুধু কঠিনই নয়—বিপজ্জনকও হয়ে উঠতে পারে।

এবং তাই হয়ে উঠছেও। তাদের নিজেদের অন্যায় কর্মকাণ্ড জনগণের সামনে প্রকাশ্য।

সাংবাদিক ও কলামিস্ট আনিস আলমগীর তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগবিরোধী নতুন রাজনৈতিক শক্তি এনসিপি (ন্যাশনাল কনসারভেটিভ পার্টি)-এর কর্মকাণ্ড ও মনোভাব নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন।

তিনি লিখেছেন, এনসিপির প্রধান নাহিদ ইসলাম তার সহযোদ্ধাদের নিয়ে গোপালগঞ্জ গিয়ে সরাসরি উস্কানিমূলকভাবে ‘মুজিববাদ মুর্দাবাদ’ স্লোগান দিয়েছেন।

সফরের আগে তিনি ও তার দলের নেতারা বঙ্গবন্ধুর নাম গোপালগঞ্জ থেকে মুছে ফেলার ঘোষণা দেন। এমনকি তাদের পদযাত্রার নামও প্রতীকীভাবে পরিবর্তন করে করা হয়েছে ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’, যা নিছক কাকতালীয় নয়, বরং একটি প্রতীকী আগ্রাসন।

আনিস আলমগীর লিখেছেন, এসব উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের ফল এখন দৃশ্যমান সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাহারা ছাড়া তারা কোথাও এক পা ফেলতে পারছে না।

অথচ বিএনপিসহ অন্য দলগুলো এই পাহারা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। বিএনপি নেতারা বলছেন, তারেক জিয়া দেশে এলে কি তাকেও এমন এসএসএফ নিরাপত্তা দেওয়া হবে?

তিনি মন্তব্য করেন, গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধুকে অবজ্ঞা করে আসা নাহিদ ইসলাম পরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে তুলে ধরে এক ধরনের রাজনৈতিক ভারসাম্য আনার চেষ্টা করছেন। কিন্তু আসলে তাদের কাজকর্মে মনে হচ্ছে যেন বঙ্গবন্ধু ছাড়া মুক্তিযুদ্ধই হয়নি।

আনিস আলমগীর লিখেছেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, স্থাপনা, ভাস্কর্য, মুরাল থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার এক অদ্ভুত প্রতিযোগিতায় নেমেছে এনসিপি। এমনকি ইউনূস সরকার তাদের খুশি করতে নতুন মুদ্রা থেকেও বঙ্গবন্ধুর ছবি সরিয়ে দিয়েছে।

আওয়ামী লীগবিরোধিতায় বিএনপি-জামাতকেও ছাড়িয়ে গেছে এনসিপি। আওয়ামী লীগকে শেষ করে দেওয়ার একমাত্র নৈতিক দায়িত্ব যেন তারা নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে। কিন্তু এই রাজনীতি তাদের একঘরে করেছে যা তাদের দেশি-বিদেশি মুরুব্বিরাও বুঝিয়ে দিতে পারেননি।

আনিস আলমগীর বলেন, “জাতীয় নেতাদের সম্মান করে জুলাই চেতনা ধারণ করা যেত। কিন্তু সেনাপাহারায় ঘুরে বেড়িয়ে সেই চেতনার কোনো উত্তাপ জনগণের মধ্যে ছড়াতে পারছে না।”

সবশেষে তিনি প্রশ্ন তোলেন ড. ইউনূস সরকারের বিদায়ের পর কে পাহারা দেবে এই দলটিকে? বিএনপি-জামাত কি সেই দায়িত্ব নেবে? যারা নিজেরাই মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ধ্বংস করছে, তারা কি তাদের গড়া ‘জুলাই স্তম্ভ’ টিকিয়ে রাখতে পারবে?

তার মন্তব্য, “হয়তো পারবে যদি বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ না থাকে। যদি তারা সত্যিই মুজিববাদকে কবর দিতে পারে। কিন্তু ইতিহাস বলে, যারা বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলতে চেয়েছে, তাদেরই নাম মুছে গেছে।”

শেষে আনিস আলমগীর লিখেছেন “এনসিপি কি পারবে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে দিতে? ফ্রিডম পার্টি এখন কোথায়? এবারের পালা কার?”

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *