ঢাকা: মাইলস্টোন এক সেকেণ্ডের মধ্যে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। ইসস! কী অসহ্য দৃশ্য!
আজ দুপুরে স্কুল ছুটির মুহূর্তে দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল ক্যাম্পাসে একটি ফাইটার বিমান ভবনের উপর বিধ্বস্ত হয়ে আগুন ধরে যায়।
এই ভবনেই ছোটদের ক্লাস হতো। সেই সময়টাতে ছুটির পর শিশুরা নিচে নামছিল, অভিভাবকেরা বাইরে অপেক্ষা করছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী এক শিক্ষিকা জানান,
“হঠাৎই বিকট শব্দে ভবনের উপর কিছু একটা পড়ে। চারপাশে ধোঁয়া আর চিৎকারে বাতাস ভারী হয়ে ওঠে।”
স্তম্ভিত সকলে। হতাহতের সংখ্যা বাড়ছেই।
তবে এখানে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন উত্থাপন হচ্ছে! এই ঘটনা কোনো সাধারণ ঘটনা নয়।
প্রথম প্রশ্ন, ফায়ার সার্ভিস (স্টেশন) মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজের নাকের ডগায় থাকতে এত দেরিতে এলো কেন?
তাদের গাড়ির যেমন গতি তাতে তো ১/২ মিনিট লাগার কথা। কেন ২০/২৫ মিনিট লাগলো? এত সময় কোন কারণে লাগালো তারা?
মিরপুর ১২ ক্যান্টনমেন্ট থেকে খবর নিশ্চিত হতে কমপক্ষে ১৫ মিনিট লাগবে। এবং জোরে আসতে লাগবে কমপক্ষে ৫ মি:।
আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, সেনাবাহিনীর এই আচরণ কেন? মাইলস্টোন স্কুলে বিমান বিধ্বস্তে নিহতের সংখ্যা কেন ধামাচাপা দিতে চায় সেনাবাহিনী?
এই নিয়ে উক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মারধর করেছে সেনাবাহিনী । সত্য ঘটনার তথ্য দেয়ার জন্য সেনাবাহিনী তাদের মেরেছে।
শিক্ষকদের অপমান করায় সেনাবাহিনী কে কেন্দ্র করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
সম্প্রতি গোপালগঞ্জে এই সেনাবাহিনী নির্বিচারে গুলি চালিয়ে সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে।
মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িয়েছে। সেনাবাহিনীর এই ভূমিকা কেন?
শুধু তাই নয়, এই বিধ্বস্ত অবস্থায় প্রচুর রক্তের প্রয়োজন। তবে যারাই রক্ত দিতে যাচ্ছে সেনাবাহিনী ও বিএনপির হামলার শিকার হচ্ছে! এরা কী মানুষ?
ছাত্ররা প্রতিবাদ করতে গেলে সেনাবাহিনীর কাছে মার খাচ্ছে।
আমিও যেতে চাই রক্ত দিতে। কিন্তু আমার নিরাপত্তা কে দিবে? জনগণ রক্ত দিতে যেতেও ভয় পাচ্ছে জানের ভয়ে।
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বিমান বাহিনীর উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ হওয়া ৩২ জনের একটি তালিকা দিয়েছে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট।
দগ্ধদের বেশির ভাগের বয়সই ১০ থেকে ১৩ বছরের মধ্যে।
৩২ জনের মধ্যে ৬ জন ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ভয়াবহ দুর্ঘটনায় অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত প্রশিক্ষণ বিমানটির পাইলটও। তবে এই সংখ্যা আনুষ্ঠানিক। আরো থাকতে পারে।