ঢাকা: ‘যে আকাশকে সুরক্ষিত রাখতো, সেই আকাশই ছেলেকে কেড়ে নিলো’?

মাত্র এক বছর আগেই বিয়ে করেছিলেন ঢাকায় যে যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনায় বিধ্বস্ত হয়েছে তার পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম!

বাড়িতে হয়তো তখনও নতুন বধূর হাসির রেশ লেগে ছিল। কত আশা ছিলো স্বামীকে নিয়ে। কিন্তু এক নিমেষে সব শেষ হয়ে গেলো!

এক বছর আগে তৌকির ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষিকাকে বিয়ে করেছিলেন।

২১শে জুলাই সোমবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্কোয়াড্রন লিডার তৌকির মৃত্যুবরণ করেন।

প্রশিক্ষণ শেষে ক্যাডেট তৌকির আজই প্রথম বিমান নিয়ে উড়াল দিয়েছিল। আজ ছিল তাঁর প্রথম দিন এবং আজকেই শেষ। নিজের স্বপ্নটাকে উড়াতে চেয়ে পাড়ি জমালেন পরপারে।

বড় মর্মান্তিক ঘটনা! এদিন, সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম সাগরের মা-বাবা, বোন জানেন না তিনি মারা গেছেন।

জীবিত দেখার আশায় তারা বিকেলে বিমানবাহিনীর বিশেষ বিমানে ঢাকায় রওনা হয়েছেন।

রাজশাহীর উপশহর তিন নম্বর সেক্টরের আশ্রয় ভবনে ভাড়া বাসায় থাকতেন নিহত বৈমানিক ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম সাগরের পরিবার। তার বাবা তহুরুল ইসলাম, মা সালেহা খাতুন, বোন সৃষ্টি এবং বোনজামাই বসবাস করেন।

বাসার মালিক আতিকুল ইসলাম জানান, তৌকির ইসলাম সাগর প্রথমবারের মতো একা প্রশিক্ষণ বিমান চালাবেন এই খবরে পুরো পরিবারের সদস্যরা আনন্দিত ছিলেন। দুপুরের পর তারা বিমান বিধ্বস্তের খবর পান।

সে সময় জানতে পারেন সাগর ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

তিনি জানান, সাগরকে দেখতে পরিবারের সদস্যরা বিমানে ঢাকা যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করলে বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করা হয়।

আতিকুল ইসলাম আরো জানান, ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলামের বাবা মা বোন ও বোন জামাই ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার আগে তার মৃত্যুর খবর জানতেন না।

তৌকির ইসলাম রাজশাহীর ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেন। পরে ভর্তি হন পাবনা ক্যাডেট কলেজে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *