ঢাকা: ঢাকার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভেতর বিমান বাহিনীর যুদ্ধ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে বহু শিশুর প্রাণহানি ঘটেছে!

এই প্রাণের দায় কে নেবে? নেবে ইন্টেরিম? নেবে সেনাবাহিনী?

বিমান প্রশিক্ষণ কেন হয় সমুদ্রতীরবর্তী এলাকায়? কারণ সেখানে জনবসতি কম, ঝুঁকিও কম থাকে।

ঢাকার মতো ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বিমান প্রশিক্ষণ?—এটা কতটা দায়িত্বশীল সিদ্ধান্ত? কেউ নিচ্ছে এর দায়?

এই রাষ্ট্র যেন পরিণত হয়েছে এক সুসংগঠিত মানুষ মারার যন্ত্রে। ইউনূস শেষ করে ফেলেছে পুরো দেশটা।

এই ব্যবস্থার প্রতিটি স্তরে লুকিয়ে আছে বিপদ।

আর এইসব লুটপাট ও দুর্নীতির বোঝা বইতে হয় সাধারণ মানুষকে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এরকম জনবহুল এলাকায় তো বিমানবন্দরই ‘থাকার কথা না’। তাতে দুর্ঘটনার পাশাপাশি আরও অনেকরকম ঝুঁকি তৈরি হয়।

সোমবার মাইলস্টোন স্কুল ভবনে বিমান বাহিনীর উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে বহু নিহত হয়েছে; দগ্ধ ও আহত হয়েছে দেড় শতাধিক।

নিহতের সংখ্যা লুকানো হচ্ছে।

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ তাঁর ফেইসবুক আইডিতে দেওয়া পোস্টে লিখেছেন, “কেন জনবহুল এলাকায় যুদ্ধ বিমানের প্রশিক্ষণ চালানো হয় তার জবাব দিতে হবে, এর জন্য দায়ী ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। নিহত ও আহতদের সঠিক পরিসংখ্যান দিতে হবে।”

আবুল কালাম আজাদ নামে একজন লিখেছেন, “প্রশিক্ষণ বিমান কেন এত ঘনবসতির শহরের ওপর উড়বে। এখানে একটা ইট ফেললেও তো কারও না কারও মাথার ওপরে পড়ে।”

মফিদুর রহমান বলেন, “আমাদের বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণে দুর্ঘটনা প্রতিনিয়তই হয়। আমরা এটার জন্য প্রস্তুত ও অভ্যস্ত। সব দেশেই এটা হয়। যেখানেই বিমান বাহিনীর উড্ডয়ন হবে, আমরা যতটাই, শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করি, তারপরেও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এবং ঘটে।

“সারা পৃথিবীর সব বিমান বাহিনীতেই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় বৈমানিকরা আহত-নিহতও হন। পাশাপাশি আরও কিছু ক্ষয়ক্ষতি (কো-ল্যাটারাল ড্যামেজ) হতে দেখা গেছে। কিন্তু মাইলস্টোনের ক্ষয়ক্ষতি একেবারেই চিন্তাতিত, অকল্পনীয়। এরকম একটা স্কুলে (বিমান) পড়ে, ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক আরও অনেকেই ছিলেন সেখানে।”

তবে এটি নিছক একটি দুর্ঘটনা নয়। এর পিছনে বড়সড় ষড়যন্ত্র রয়েছে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *