ঢাকা: দেশ যখন বিপদে পড়ে, ক্রান্তিকালে বোঝা যায় বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিভাগ কতটা মজবুত!
না আছে ভালো চিকিৎসক, না আছে ওষুধ পত্র, আর খরচ তো আছেই। চিকিৎসার মান যত না উন্নত তার চেয়ে টাকা বেশি।
দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা এতই ভঙ্গুর যে দগ্ধ শিশুদেরকে সিঙ্গাপুর পাঠানোর কথা বলা হচ্ছে কিন্তু দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নত কথা কেউ বলে না।
বাংলাদেশের প্রতিটি সেক্টর দুর্নীতিতে ভরপুর। ৫ আগস্টের পর তো অবস্থা বেগতিক।
দলবাজি করে এরা, জাতীয় সংকট বোঝার ক্ষমতা এই উপদেষ্টাদের নেই।
দেশে আগুনে পোড়া রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ বার্ন ইউনিট অপরিহার্য সেটা কারো খবর ছিলো না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এই গুরু দায়িত্বটি কাঁধে নেন ডা. সামন্ত লাল সেন।
তাদের নিরলস প্রচেষ্টায় গড়ে ওঠে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউট। প্রধানমন্ত্রীর উৎসাহে গঠন করা হয় বিশেষায়িত বার্ন ফাইটার মেডিকেল টিম।
ডা. সেন নিরলস চেষ্টায় দেশজুড়ে খুঁজে খুঁজে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনবল গড়ে তোলেন এবং ইনস্টিটিউটটিকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দেন।
কিন্তু দুঃখজনকভাবে, গত সেপ্টেম্বরে মাসে পুরো সেটআপ ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলায় বদলি করে দেয়া হয়েছে।
অনেককে আবার এমন এমন জায়গায় বদলি করা হয়েছে, যেখানে বার্ন রোগীর ড্রেসিং সুবিধাও পর্যন্ত নেই। এই দেশ আস্ত থাকবে কী করে?
আর যাদের বসানো হয়েছে, তারা তো অ আ কখ জানে না ।
আর এখন যখন জাতির দুর্যোগ তখন শেখ হাসিনার কথা সবার মনে হচ্ছে। ধাক্কাধাক্কি লেগেছে।
বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের জন্য সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসক দল আসছে বলে জানিয়েছেন শ্রম উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন।
একইসঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আহত শিক্ষার্থীদের যতজনকে সম্ভব বিদেশে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন তিনি।
তবে ভারতের কথা কিন্তু বলেননি। ভারত থেকেও চিকিৎসক আসছে।
আহতদের সাহায্য করার জন্য ভারত থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স ও দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত কিছু সরঞ্জাম ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে।