ঢাকা: “আমি বাতাসে লাশের গন্ধ পাই
আজো আমি মাটিতে মৃত্যুর নগ্ননৃত্য দেখি,
বাতাসে লাশের গন্ধ ভাসে
মাটিতে লেগে আছে রক্তের দাগ।
জাতির পতাকা খামচে ধরেছে আজ পুরোনো শকুন।
বাতাশে লাশের গন্ধ…”
রুদ্রের কবিতা আজ বড় প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে! বড় দুঃখের দিন। এই বেদনা কোথায় রাখবে মায়েরা?
বাতাসে পোড়া গন্ধ ভাসছে এখনো! বিধ্বস্ত ডানা ভাঙ্গা বিমানটি যেন মৃত্যুদূত হয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে স্কুল ভবনের ভিতরে এবং বাইরে!
কত কত মৃত্যু! শিশুগুলোর দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে।
তবে এই অবস্থায় আহত শিশুদের রিক্সায় তুলে নিতে রিক্সা/সিএনজিওয়ালারা ভাড়া নিয়ে যে বিবেকহীন কান্ড করেছেন তা যেন ছাড়িয়ে গেছে পানি বিক্রেদেরকেও।
বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা যে ক্রান্তিকালিন সময়ে কতটা নির্মম কসাই তা বোঝা যায়।
আকাশে-বাতাসে ভেসে আসছে পোড়া লাশের গন্ধ, সন্তানহারা মা-বাবার আর্তনাদ শোনা যাচ্ছে।
কচি কাঁচা প্রাণের ঝলসানো দেহ, তাদের যন্ত্রণাক্লিষ্ট আর্তি দেখে চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে বারবার। আগুনের লেলিহান শিখায় ভস্ম হয়েছে এদেশের আগামী, কত স্বপ্ন, কত মেধা।
সন্তান খুঁজতে গিয়ে মা প্রাণ হারিয়েছে, বাচ্চাদের বাঁচাতে শিক্ষিকার আত্মত্যাগ! আহ! শান্তি দাও সৃষ্টিকর্তা! এই বুকে আজ বড় বেদনা!
মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজের ভেতরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে শিক্ষার্থীদের বই-খাতা জুতা। অসহনীয়!
মাইলস্টোনে হতাহতের ঘটনায় মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় শোক পালন করছে বাংলাদেশ।
সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে। সব ধর্মীয় উপাসনালয়ে আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ প্রার্থনার।
তবে রাষ্ট্র যতদিন শোধরাবে না, ইউনূস যতদিন ক্ষমতায় আছে ততদিন প্রতিদিন এভাবেই লাশ পড়বে!