গাইবান্ধা: মুহাম্মদ ইউনূসের দেশে এখন চলছে অবিচারের রাজ। এখানে কোনো আইন নেই, আদালত নেই। ইউনুস সরকারের সময়েই দেশে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা ও মৌলবাদের আশঙ্কাজনক উত্থান ঘটেছে। একের পর এক সংখ্যালঘু নির্যাতন, উপাসনালয়ে হামলা এবং ভিন্নমতের দমন যেন এই শাসনামলের ‘নতুন স্বাভাবিক’ হয়ে উঠেছে। আর চলছে আওয়ামী নেতা কর্মীদের ধরে ধরে গ্রেপ্তার কর্মসূচি। ভুয়া মামলা দিয়ে এক একজনকে ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

এবার গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এই কার্যালয়টির অবস্থান উপজেলা পরিষদসংলগ্ন বঙ্গবন্ধু মার্কেট ভবনের দ্বিতীয় তলায়।

শনিবার বিকাল ৫টার দিকে সেখানে হামলা হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন পলাশবাড়ী থানার ওসি জুলফিকার আলী ভুট্টু।

তিনি বলেন, এদিন বিকালে চৌমাথা মোড়ে ‘ছাত্র-জনতার ব্লকেড ও অবস্থান কর্মসূচি’ চলছিল।

“এর মধ্যে হঠাৎ করে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে হামলার খবর পাই। হামলাকারীরা তালা ভেঙে সেখানে থাকা চেয়ার-টেবিল বের করে আগুন দিয়ে চলে যায়। তবে হামলাকারীদের পরিচয় তাৎক্ষণিক কেউ জানাতে পারেনি।”

এই ঘটনার সময় মোবাইলের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে কাঁধে ব্যাগ থাকা দুজনের মধ্যে একজন সাদা শার্ট পরা। তাদেরকে জানালার গ্রিল হাতে নিয়ে হেঁটে যেতে দেখা গিয়েছে।

এদিকে, আওয়ামী লীগ দেখলেই তাঁদের মারধর, গণপিটুনি দেয়া হচ্ছে। সিলেটে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে চলা গণজমায়েত কর্মসূচি চলাকালে আওয়ামী কর্মী সন্দেহেকরে এক যুবককে পিটুনি দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার বিকাল ৫টার দিকে নগরীর চৌহাট্টা এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে।

প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে চাওয়া মানে হলো বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে অস্বীকার করা। একমাত্র দেশবিরোধী ও স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিই এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

রাষ্ট্রের কাঁধে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে জনগণের ম্যান্ডেটহীন অবৈধ ও অসাংবিধানিক ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকারের আওয়ামী নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে জনগণ ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং এই সিদ্ধান্তকে পদদলিত করে আওয়ামী লীগের পক্ষে রাজপথে সোচ্চার থাকবে বাংলার জনগণ। কেননা, বাংলার জনগণের অধিকার আদায়ে আওয়ামী লীগ সর্বদা আপসহীন। তাই আওয়ামী লীগের সঙ্গে জনগণের মিতালি অকৃত্রিম ও নিখাদ।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *