ঢাকা: পুরাতনের ত্রুটি থাকবেই। ত্রুটি যুক্ত নিয়ে, দেশ উন্নতির দিকে এগিয়ে নেওয়া সহজ নয়।

ফাউন্ডেশন ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) ফজলে এলাহী আকবর বলেছেন, ‘আমাদের যে ফাইটার জেটগুলো আছে তার বেশির ভাগই আউটডেটেড। যে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে সেটার উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে ২০১৩ সালেই। আমরা এগুলো আর কতদিন চালাব?

তার ওপর যথাযথ মেইনটেইন করা হয় কিনা সন্দেহ। শুনেছি এখানে অনেক অনিয়ম রয়েছে। যদি সত্যিই তাই হয় তাহলে এই এয়ারক্রাফটগুলো একেকটা ফ্লাইং কফিন। এটাই প্রমাণ করে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা কোন দশায় আছে, আমরা কতটা আনপ্রিপেয়ার্ড।’

আর যারা কিনা লাশের রাজনীতি করে, মব করে, খুন করে, তারাই কুমিরের কান্না করছে মাইলস্টোনের ঘটনায়।

উত্তরায় বিধ্বস্ত বিমানবাহিনীর যুদ্ধ বিমানটিতে কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল কিনা তা জাতির সামনে স্পষ্ট করার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

ইউনূসের তো হাড়ি হাড়ি দোষ। নির্বাচনের আগে বিমান দুর্ঘটনাকে ইস্যু বানিয়ে বেশ রসালো করে কথা বলার সুযোগ পেলো বিএনপি।

চন্দ্র রায় এর আগে বলেছিলেন, কোনো ষড়যন্ত্র, আন্দোলন কিংবা বিদেশি চাপ সংসদ নির্বাচনকে থামাতে পারবে না। তার দাবি, জনগণই সব সিদ্ধান্ত নেবে।

রাজধানী উত্তরার মাইলস্টোন স্কুলে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় আহত ও নিহতদের স্মরণে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে বিএনপি।

এসময় ঢাকার মতো এমন জনাকীর্ণ শহরে কীভাবে প্রশিক্ষণ বিমান চালানো নিয়ে প্রশ্ন তোলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

যদিও গয়েশ্বরের প্রশ্ন করাই সার। তাঁর আগে জনগণ প্রতিবাদে নেমেছে।

এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘এই প্রশিক্ষণ যারা দিচ্ছেন, যারা তদারকি করছেন, তারা বিমানটা সচল থাকার মতো যান্ত্রিক অবস্থা ছিল কিনা সেটা বোঝার ব্যাপার আছে। এই বিষয়গুলো, এখানে কোনো ব্যক্তিগত বা সমষ্টিগত না।’

১৯৭০ ও ৮০-এর দশকে কেনা প্রশিক্ষণ বিমানের ওপর এখনও নির্ভরশীল থাকতে হচ্ছে, যার কারণে প্রতি বছরই নানা ধরণের দুর্ঘটনার খবর শোনা যায়।

সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডি ঘটলো উত্তরায়, পুরনো প্রশিক্ষণ বিমান শিক্ষার্থীদের স্কুলের উপর ভেঙে পড়ে, প্রাণ হারায় নিরীহ শিশুগুলো।

এই মুহূর্তে যদি বাংলাদেশ বিমানবাহিনীকে আধুনিকায়নের পদক্ষেপ নেওয়া না হয়, বিশেষ করে ৫ম প্রজন্মের প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত ও প্রস্তুত করা না যায়, তাহলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের অবস্থা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, সেটা কল্পনা করা কঠিন।

অবশ্য ক্ষমতার লোভে থেকে এই সরকার কী করতে পারবে সেটাই প্রশ্ন।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *