ঢাকা: কোনো স্বাধীনতা নেই। চাকরি করলে চাকরের মতো থাকতে হবে। ইউনূসের কথা শুনতে হবে। তাছাড়া চাকরি নট হবে।
নতুন সরকারি চাকরি আইন ২০২৫ — এবার নিয়ম ভাঙলে চাকরি শেষ! এভাবেই দেশের সকল পেশাজীবীর মানুষকে, সাধারণ জনগণকে শেকল দিয়ে বাঁধা হচ্ছে।
এক গুরুত্বপূর্ণ আদেশে সরকারি চাকরি (দ্বিতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি হয়েছে।
এই আইন অনুযায়ী:
যদি কোনো সরকারি কর্মচারী নিজে কাজ না করেন, অথবা অন্য কাউকে কাজ থেকে বিরত থাকতে বলেন, অথবা সরকারের বৈধ আদেশ অমান্য করেন তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে নেওয়া যাবে কঠোর ব্যবস্থা:
বাধ্যতামূলক অবসর, চাকরি থেকে বরখাস্ত অথবা পদাবনতি। এই তিন ধরনের শাস্তির কথা বলা হয়েছে নতুন অধ্যাদেশে।
আগের অধ্যাদেশে দোষী কর্মচারীকে নিম্নপদ বা নিম্নবেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ বা চাকরি থেকে অপসারণ, চাকরি থেকে বরখাস্ত করার সুযোগ রাখা হয়েছিল।
শুধু তাই নয়, এর বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে না, শুধু ৩০ দিনের মধ্যে রিভিউ চাওয়ার সুযোগ থাকবে।
কালাআইন বলে অভিহিত করা হয়েছে একে।
বুধবার (২৩ জুলাই) অধ্যাদেশটি গেজেট আকারে জারি করা হয়েছে।
গত ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদ সরকারি চাকরি আইন সংশোধন করে তা অধ্যাদেশ আকারে জারির প্রস্তাবে সম্মতি দেয়।
এর প্রতিবাদে ২৪ মে থেকে সচিবালয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
তবে সরকারি কর্মচারীদের ওপর ইউনূসের অনেক ক্ষোভ। তাদের আন্দোলনের মধ্যেই ২৫ মে রাতে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার।
সরকারি চাকরি আইনের সংশোধিত অধ্যাদেশে পুরোনো আইনের সঙ্গে ‘৩৭ক’ নামে একটি ধারা সংযোজন করা হয়।
গত ৪ জুন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের নেতৃত্বে একটি পর্যালোচনা কমিটি গঠন করা হয়। উক্ত কমিটি আন্দোলনরত সংগঠনসমূহের নেতৃবৃন্দের আলাপ-আলোচনা করে অধ্যাদেশটি সংশোধনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
গত ৩ জুলাই উপদেষ্টা পরিষদের ৩২তম বৈঠকে এ সংশোধিত সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ অনুমোদন করে উপদেষ্টা পরিষদ।
