ঢাকা: হিলি স্থলবন্দরে,
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অবনতির কারণে এইভাবে রাজস্ব ঘাটতি হচ্ছে ।
অথচ মুহাম্মদ ইউনূস সরকার তাঁর পথেই চলবে।
গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর থেকে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭৪০ কোটি ৯ লাখ টাকা।
আর আদায় হয়েছে ৭১৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। এই হিসেব করলে রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।
ভারত বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক অবনতি হয়েছে ৫ আগস্টের পর। এবং বাংলাদেশে অনেক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত। দিয়েছে বাংলাদেশের সরকারের বাড়াবাড়ির কারণে।
কাস্টমস কর্তৃপক্ষ পরিষ্কার বলছে, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অবনতির কারণে পণ্য আমদানি হ্রাস পেয়ে রাজস্ব আহরণ কমেছে।
হিলি স্থল শুল্ক স্টেশন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এনবিআর কর্তৃক রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৭৪০ কোটি ৯ লাখ টাকা।
এ হিসেবে গত জুলাইয়ে ৪৫ কোটি ৯ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৪৫ কোটি ৭৬ লাখ, আগস্টে ৬০ কোটি ৮৯ লাখ টাকার বিপরীতে ৫৮ কোটি ৩৯ লাখ, সেপ্টেম্বরে ৫৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকার বিপরীতে আহরণ হয়েছে মাত্র ৫৫ কোটি ৭ লাখ, অক্টোবরে ৬২ কোটি ৬৫ লাখ টাকার বিপরীতে ৬১ কোটি ৮৯ লাখ, নভেম্বরে ৬৫ কোটি ১৯ লাখ টাকার বিপরীতে মাত্র ৪৩ কোটি ৮৯ লাখ এবং ডিসেম্বরে ৬৯ কোটি ২১ লাখ টাকার বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৫৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।
বাংলাদেশে বর্তমানে মারাত্মক চাপে পড়েছে।এবং ভারত বিরোধিতার ফল খুব ভালোভাবে ভোগ করছে।
হিলি স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রাশেদুল ইসলাম বলেছেন, ‘আগে এ স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ১৫০-২০০ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি হতো।
এখন সেটা কমে গিয়ে ১৫ থেকে সর্বোচ্চ ৩০ ট্রাক পণ্য আমদানি হচ্ছে।’
ফলে রাজস্ব আহরণ কম হবেই। বাংলাদেশের কর্মকাণ্ডকে ভারত ভালো চোখে দেখেনি। ফলে নিষেধাজ্ঞায় ফেলেছে বাংলাদেশকে। বাংলাদেশের পাকিস্তান প্রীতি এবং ইউনূসের অসামঞ্জস্য বক্তব্য ভারতের কাছে ভালো ঠেকেনি। ফলে সব মিলিয়ে ভারত নড়েচড়ে বসে।