ঢাকা: দেশকে জিম্মি করে একেবারে
পরিকল্পিতভাবে নির্বাচিত সরকারকে উচ্ছেদ করে উগ্রবাদীদের হাতে তুলে দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
থানা পুড়িয়ে, কারাগার ভেঙে, অস্ত্র লুট করিয়েছে এই জঙ্গী বাহিনী।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজরিত ৩২ নাম্বারের বাড়িটি যেভাবে ঘোষণা দিয়ে ভাঙচুর ও জ্বালাও পোড়াও শেষে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হলো এর সবকিছুই পরিকল্পিত।
ডঃ ইউনুসের বক্তব্য অনুসারে জুলাই বিপ্লব “মেটিকুল্যাসলি ডিজাইন” করা একটি আন্দোলন।
সাধারণ জনগণের একটি অংশকে ভুলিয়ে এই আন্দোলনে যুক্ত করার জন্য তারা এমন অনেক কিছুই করেছে যা তাদের প্ল্যানেরই অংশ ছিলো।
বুঝা যায় এতগুলো থানা পুড়িয়ে অস্ত্র লুট করাটাও তাদের পরিকল্পনার অংশই ছিল।
৪৬০ থানা পুড়িয়ে, ১০ হাজার অস্ত্র লুট, ৩ লক্ষ গোলাবারুদ লুট করে অসংখ্য পুলিশ নির্মমভাবে হত্যা করে, পুলিশের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছে জঙ্গী দল।
পুলিশের অস্ত্র লুট করেছে জামাত বিএনপি।
লোহাগাড়ায় পুলিশকে জিম্মি করে অস্ত্র লুট করে থানায় আগুন দেয় জামাত বিএনপি সন্ত্রাসীরা।
গত ৫ আগস্ট জামাত বিএনপি সন্ত্রাসীরা পুলিশকে জিম্মি করে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানার সমস্ত অস্ত্র লুট করার পর পুলিশকে ভিতরে রেখেই আগুন জ্বালিয়ে দেয় থানায়।
থানার লুট হওয়া বেশিরভাগ অস্ত্র উদ্ধার হয় নাই। হবার আশাও নেই। কিন্তু উপদেষ্টাদের মুখে এখন হাস্যকর কথা শোনা যাচ্ছে! যেন এরা ধোয়া তুলসীপাতা।
এই সকল অতি প্রয়োজনীয় সরকারী স্থাপনা পুড়িয়ে দেয়ায় চিহ্নিত জামাত-বিএনপি সন্ত্রাসীদের বিচার কি করবে ইউনুস সরকার?
এই অস্ত্র উদ্ধার করতে হলে অপরাধীর নাম বলতে হবে, অপরাধীর দল বলতে হবে, সেটা পারবেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা?
একবছরে উদ্ধার হয়নি, আল্লায় দিলে আর হবার আশাও নেই।
তিনি কী বলেছেন শুনি!
সরকারি সব অস্ত্র এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেছেন, “সব অস্ত্র এখনও আমরা উদ্ধার করতে পারি নাই। অস্ত্রগুলো উদ্ধারের চেষ্টা করছি। আল্লায় দিলে হয়ত নির্বাচনের আগে আরও অনেক অস্ত্র উদ্ধার হয়ে যাবে।”
শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ লাইন্স পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।