ঢাকা: গত এক বছরে বিএনপির আয় সাড়ে ১৫ কোটি টাকা। ক্ষমতায় যাবার আগেই এই পরিস্থিতি! ক্ষমতায় গেলে এই আয় ১৫ বিলিয়ন এ রুপান্তরিত হবে।

বিএনপি অনেক বড় দল, লক্ষ লক্ষ কর্মী! তারা সবাই যদি চাঁদার ১% করেও জমা দেয় তাহলে অনেক টাকা! রাতারাতি আঙুল ফুলে কলাগাছ।

আসলে যদি বলি, চাঁদাবাজি বলে বেশি লজ্জা দেয়া ঠিক হবে না। ইহা তাহাদের অর্থনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সুষম বন্টন।

যে দেশের সরকারপ্রধান চাঁদা তোলে! সে দেশে বিএনপি চাঁদা তুললে সমস্যা কোথায়?

গ্রামে বাথরুম করলে, শিশু জন্ম দিলেই, বিএনপির যুবদল নেতাকে, দিতে হবে ১০ হাজার টাকা চাঁদা! বিএনপি চাঁদাবাজি তে সেরা!

২০২৪ সালের অডিট রিপোর্ট নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দিয়েছে বিএনপি। এতেই আয় দেখানো হয়েছে ১৫ কোটি ৬৫ লাখ ৯৪ হাজার ৮৪২ টাকা।

দেখা গেলো, জুলাই অভ্যুত্থানের বছরে বিএনপির আয়ে বড় ধরনের লাফ দিলো। তা উৎস তো চাঁদাবাজি!

শেখ হাসিনাকে গদিচ্যূত করা হয়েছে মেটিকুলাস ডিজাইনে। তারপরেই এদের উল্লম্ফন বেড়েছে। চাঁদাবাজির উৎপাতে জনগণের অবস্থা শেষ।

এখন তো মনে হচ্ছে, রাস্তায় হাঁটতেও চাঁদা না দিলে হাঁটা যাবে না।

আজ রবিবার সকালে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল এসে ইসি সচিব আখতার আহমেদের কাছে বিএনপির আর্থিক আয়-ব্যয় বিবরণী জমা দেন।

সাংবাদিকের রিজভী জানান, ২০২৪ সালে বিএনপির আয় হয়েছে ১৫ কোটি ৬৫ লাখ ৯৪ হাজার ৮৪২ টাকা।

ব্যয় হয়েছে ৪ কোটি ৮০ লাখ ৪ হাজার ৮২০ টাকা। উদ্বৃত্ত আছে ১০ কোটি ৮৫ লাখ ৯০ হাজার ১৯ টাকা।

উল্লেখযোগ্য যে, সর্বশেষ বিএনপি ২০২৩ সালে আয় দেখিয়েছিল ১ কোটি ১০ লাখ ৮০ হাজার ১৫১ টাকা। ব্যয় হয়েছিল ৩ কোটি ৬৫ লাখ ২৩ হাজার ৯৭০ টাকা।

২০২২ সালে বিএনপির আয় ৫ কোটি ৯২ লাখ ৪ হাজার ৬৩২ টাকা এবং ব্যয় ৩ কোটি ৮৮ লাখ ৩৩ হাজার ৮০৩ টাকা।

রিজভী জানান, সদস্যদের মাসিক চাঁদা, বই-পুস্তক বিক্রি, ব্যাংক সুদ ও এককালীন অনুদান থেকে আয় হয়েছে।

চাঁদাবাজির কথা এড়িয়ে তো যাবেনই! আসল উৎসের কথা তো বলা যায় না।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *