খুলনা: খুলনায় ক্রমশ বাড়ছে অপরাধমূলক বিভিন্ন কর্মকাণ্ড। গ্রুপে-গ্রুপে দ্বন্দ্ব, মাদক-চাঁদাবাজি, অস্ত্র বিক্রিসহ নানা কারণে ঘটছে হত্যাকাণ্ড!

ইউনূসের নতুন বাংলাদেশে নাহিদ, আসিফ, হাসনাতদের নেতৃত্বে পুলিশ ঝুলিয়ে হত্যা করার জুলাই স্পিরিট যেন জুলাই-জঙ্গীদের অপরাধ করতে নির্ভিক করে তুলেছে।

খুলনায় দিনের পর দিন অপরাধ বাড়ছে প্রশ্রয় পেয়ে।

প্রকাশ্যে ছিনতাই হচ্ছে রাস্তায়, হচ্ছে মানুষ খুন, চলছে লুটপাট, ডাকাতি।

এখনো থামলো না এইসব। কারণ ইউনূসের অভয় আছে, জেল ভেঙে সন্ত্রাসীদের বের করার আশীর্বাদ আছে জঙ্গীদের মাথার উপর।

খুলনাবাসী শান্তিতে নেই এই এক বছরে।

সম্প্রতি খুলনায় ব্যাংকিং শাখায় বোরখা পরে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। বোরখার এই এক সুবিধা- চোর ডাকাত সামনে দিয়ে হেঁটে গেলেও বোঝা যায় না।

খুলনা নগরীর কদমতলা মোড়ে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের একটি এজেন্ট ব্যাংকিং শাখায় বোরকা পরে অভিনব কায়দায় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে এজেন্ট বেলায়েত হোসেন বকুলকে ছুরি দেখিয়ে জিম্মি করে ক্যাশ থেকে ৮ লাখ ৫৪ হাজার টাকা লুট করা হয়।

এ সময় চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে একজন ছিনতাইকারীকে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।

৫ আগস্টের পর খুলনায় নির্বিচারে চলেছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে হামলা ও লুটপাট।

গত ৫ আগস্ট খুলনার আইচগাতী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শেখ ওহিদুজ্জামান মিন্টু’র বাড়ি আক্রমণ করে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে।

হামলায় সরাসরি অংশগ্রহণ করে নিয়ামুল হত্যা মামলার আসামী ও বিএনপি সন্ত্রাসী মিরাজ মল্লিক, মাসুদ ও আসিফসহ ৩০-৪০ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী।

তখন বাড়াতে কেউ না থাকায় তালা ভেঙে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে এরা।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অন্তর্গত ৮ থানায় গত দশ মাসে সন্ত্রাসীদের গুলিতে খুন হয়েছেন ২৭ জন। সংখ্যাটা আরো বেশিও হতে পারে।

পুলিশ এখনো সম্পূর্ণরূপে সক্রিয় হতে পারেনি। সন্ত্রাসীরা নির্বিঘ্নে তাদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।

পুলিশ সক্রিয় ভূমিকায় এলেও তারা এখন ইউনূসের চকিদারে পরিণত হয়েছে। পুলিশের সামনে থেকে জনগণের জিনিসপত্র ছিনতাই হয়ে যাচ্ছে, পুলিশের কোনো ভূমিকা নেই।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *