ঢাকা: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পরমাণু বিজ্ঞানী প্রয়াত ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন আজ।
তিনি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তাঁর নাম রাখেন নানা শেখ মুজিবুর রহমান।
বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার, প্রযুক্তিনির্ভর বাংলাদেশের স্থপতি, সমৃদ্ধ আগামীর প্রতিচ্ছবি সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৪ তম জন্মদিনে শুভেচ্ছা।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের তরফ থেকে শুভেচ্ছা জানানো হয় সজীব ওয়াজেদ জয়কে।
অবরুদ্ধ বাংলাদেশে প্রখ্যাত পরমাণু বিজ্ঞানী এম এ ওয়াজেদ মিয়া ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার ঘরে আলো হয়ে আসেন তিনি।
১৯৭৫-এ পরিবারের উপর চলা ভয়ঙ্কর হত্যাযজ্ঞের ধাক্কা ছোট্ট জয়ের জীবনকেও আলোড়িত করে। সুস্থ-স্বাভাবিক বেড়ে ওঠার সময়ে একটি পরাধীন, দেশান্তরী জীবন পান তিনি।
ভারতের বিখ্যাত নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজ, তামিলনাড়ুর পালানি পাহাড়ের কোডাইকানাল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের পর বেঙ্গালুরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেন।
পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আর্লিংটনের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোক প্রশাসন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। সুইজারল্যান্ডের জেনেভাভিত্তিক ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম ২০০৭ সালে তাকে বিশ্ব অর্থনীতির গতিপথ নির্ধারণকারী তরুণদের একজন বলে স্বীকৃতি দেয়।
জয় তাঁর এই স্বীকৃতির বাস্তবায়ন ঘটান। ২০০৮ সালে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ ধারণা সামনে এনে প্রযুক্তির উত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে বদলে দেন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবকাঠামো।
তাঁর প্রজ্ঞা, দূরদৃষ্টি ও নেতৃত্ব বাংলাদেশের প্রযুক্তিভিত্তিকে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেয়। প্রযুক্তির সহজলোভ্যতার মাধ্যমে তারুণ্যের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বাংলাদেশ বিশ্বে শীর্ষস্থান লাভ করে।
তিনি প্রযুক্তিকে রাষ্ট্র পরিচালনার স্তম্ভে স্থান দিয়েছেন। তরুণদের হাতে তুলে দিয়েছেন কর্মসংস্থানের দিগন্ত। উদ্ভাবন, গবেষণা ও কর্মসৃজনে সৃষ্টি করেছেন উপযুক্ত পরিবেশ।
তাঁর নেতৃত্বে গঠিত হয় ডিজিটাল অবকাঠামো, ই-গভর্ন্যান্স, ইউনিয়ন পর্যায়ে উচ্চগতির ইন্টারনেট, স্টার্টআপ কালচার ও বাংলাদেশের প্রযুক্তিনির্ভর আত্মবিশ্বাসী অবস্থান।
জয় তাই শুধু একটি নাম নয়, বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবার সম্ভাবনা, অন্তর্দৃষ্টি। তাঁর নেতৃত্ব দীপ্তিময় হোক, তাঁর ভিশনে উজ্জ্বল হোক স্মার্ট বাংলাদেশ।