মোহাম্মদপুর: মোহাম্মদপুরে অপরাধ বাড়ছেই। এখানে কি আলাদা আইন চলে নাকি? দিন দিন মোহাম্মদপুর একটা আতংকের নগরীতে পরিণত হচ্ছে।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে যেন ফিরে এসেছে গত শতকের নব্বইয়ের দশকের শেষদিকের পরিস্থিতি!
দাপুটে সন্ত্রাসীদের আধিপত্যে সেই সময় মোহাম্মদপুরসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা পরিণত হয়েছিল ‘অপরাধের স্বর্গরাজ্যে’।
রাজনৈতিক মদদ এবং প্রশাসনিক সীমাবদ্ধতার সুযোগে সন্ত্রাসীরা হয়ে উঠেছিল দুর্ধর্ষ-অপ্রতিরোধ্য।
ঢাকার রাজপথে দিনদুপুরে খুনখারাপি, ঝুট ব্যবসার দ্বন্দ্ব, টেন্ডার, দখল-চাঁদাবাজি এবং আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধে প্রকাশ্যে অস্ত্রবাজি, অস্ত্রের মুখে ছিনতাই-ডাকাতির মতো ঘটনা তখন ছিলো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়!
তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় গত আড়াই দশকে সেই চিত্র পাল্টে গিয়েছিল।
তবে এখন আবার মোহাম্মদপুরের অবস্থা সেই আগের ছবি মনে করিয়ে দিচ্ছে।
অপরাধ এখন যেন মোহাম্মদপুরে এখন ‘ডাল-ভাত’!
আইনশৃঙ্খলার বাহিনীর হাত ধরে সংঘটিত হচ্ছে অপরাধ।
বিশেষ করে মোহাম্মদপুরে চারটি হটস্পটকে কেন্দ্র করে সক্রিয় রয়েছে মাদক ব্যবসায়ী, ছিনতাইকারী, চোর-ডাকাতসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধী।
চার হটস্পট হচ্ছে বসিলা বেড়িবাঁধ, ঢাকা উদ্যান, জেনেভা ক্যাম্প ও টাউন হল বিপরীত পাশের বিহারি ক্যাম্প।
চুরি-ছিনতাই ও ডাকাতির ভয়ে আতঙ্কে দিন কাটছে স্থানীয়দের।
ব্যবসা করা তো মারাত্মক ব্যাপার এখানে। ছিনতাই, ডাকাতির ভয়ে ব্যবসা লাটে উঠেছে।
সন্ধ্যা নামতেই থমথমে হয়ে যায় এলাকার প্রতিটি আবাসিক ভবন আর সড়কগুলো। কখন, কোথায়, কে অপরাধের শিকার হবেন, অনুমান করতে পারেন না কেউ।
অভিযোগ উঠেছে, সম্প্রতি এক যুবককে ১০ লাখ টাকার হেরোইনসহ আটক করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগপত্রও লেখা হয়।
কিন্তু অদৃশ্য শক্তির ইশারায় তাকে পুরাতন এক মামলায় গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। তার থেকে উদ্ধার হওয়া মাদক দ্রব্য হেরোইন আদালতে জমা দেওয়া হয়নি।
পুলিশের বিরুদ্ধে ওই হেরোইন আত্মসাতের অভিযোগ তুলেছেন প্রবাসী সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝর। ওই যুবককে আটকের পর পুলিশের লেখা একটি এফআইআর (ফাস্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার করে বিষয়টি সামনে আনেন তিনি।
ভয়াবহ সব ঘটনার সাক্ষী হচ্ছে মোহাম্মদপুর।