ঢাকা: জুলাই আন্দোলন তো আর এমনি এমনি করেনি! দেশ বিক্রি করার নামেই এরা রাস্তায় নেমেছে।
একদিন ঘুম থেকে উঠে তিনি অনুভব করলেন—আত্মা কাঁদছে! হৃদয়ে এক তীব্র আকুতি—”আমার কিছু একটা করা দরকার!”
তাড়াতাড়ি বড়লোক হতে হবে।
তখনই আকাশ থেকে ভেসে এলো বাংলাদেশের দিক থেকে একটা শব্দ—“কোটা না মেধা? মেধা মেধা!”
বাংলাদেশ তখন কোটা আন্দোলনে উত্তাল — রাজপুত্র ভেবেই ফেললেন—”হ্যাঁ! এটাই তো আমার শ্রেষ্ঠ সময় ! ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াতেই হবে!”
তাই রিয়াদ রাজপুত্র ব্যাগ গুছিয়ে, মুখে গামছা পেঁচিয়ে নেমে পড়লেন।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে এমন অনেক রাজপুত্র আছে যারা পর্দার আড়ালে গোপনে কাজ করে যাচ্ছে।
আমরা হয়তো তাদের চিনি না কারণ আমরা মহৎ মানুষ চেনার চেষ্টা করি না। না চিনলে সামনেও হয়তো এমন ঘটনা ঘটতেই থাকবে।
চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেফতার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আবদুর রাজ্জাক রিয়াদ।
রিকশাচালক বাবার অভাব-অনটনের সংসারে বড় হলেও গত এক বছরে বাড়িতে উঠেছে পাকা দালান। পড়ছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। ব্যবহার করেন দামি মোটরসাইকেল।
আর্থিক অনটনের মধ্যে বেড়ে ওঠা একজন ছাত্রের বাড়িতে হঠাৎ পাকা ভবন নির্মাণ নিয়ে এলাকায় নানা আলোচনা চলছে, বলেন প্রতিবেশীরা।
আগে ভাঙাচোরা একটি টিনের ঘর ছিল। ওই ঘরের জায়গায় নতুন ভবন করা হচ্ছে। রিয়াদের মা-বাবা এখন বাড়ির প্রবেশপথের পাশের একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে থাকেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে রিয়াদের বাড়ির এক নারী বলেন, রিয়াদের বাবা ও বড় ভাই দুজনই রিকশা চালাতেন। এখন চালান না। রিয়াদ ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে বলে শুনেছেন। গত ৫ আগস্টের পর সমন্বয়ক হয়েছে। কিছুদিন পরপর বাড়িতে আসে। দুই-আড়াই মাস আগে পুরোনো ঘর ভেঙে পাকা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেছে।
একজন বাসিন্দা বলেন, একজন ছাত্র কী করে এত টাকার মালিক হয়, ভেবে কূল পাই না! এখন আবার চাঁদাবাজির ঘটনায় গ্রেফতার হলো। আমরা এসবের নিন্দা জানাই।