ঢাকা : এই বয়সে নির্বাচন করবেন খালেদা জিয়া? তিনি অসুস্থ বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে কতই না কাকুতি মিনতি করলো দল। বিদেশে চিকিৎসা তাঁকে করাতেই হবে, এই মর্মে কত বিরোধিতা হলো!

তবে শেখ হাসিনা মানবতার পরিচয় দিয়েছেন। এবং দেশে থেকেই খালেদার চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেন।

প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালে রাজাকার-জামায়াতদের সহায়তায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের পর নির্বাচন কমিশনকে পাশ কাটিয়ে চলতে শুরু করেন খালেদা জিয়া।

সরকারে অধিষ্ঠিত হয়েই খালেদা জিয়া তার স্বামী স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান এবং এরশাদের পথ অনুসরণ করে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে আবারও কলুষিত করে তোলেন।

ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ঢাকা (মিরপুর ও তেজগাঁও) ও মাগুরার উপ-নির্বাচনে বিএনপির দলীয় সন্ত্রাসী বাহিনী লেলিয়ে দেন তিনি।

এমনকি ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দলীয় ক্যাডারদের ব্যবহার করে একদলীয় নির্বাচনের আয়োজন করে নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করেন খালেদা জিয়া। ফলে জনগণ সেই নির্বাচন প্রত্যাখান করে।

জনগণের স্মরণে আছে, বাংলাদেশের নির্বাচনের ইতিহাসে এক কলঙ্কিত অধ্যায় সৃষ্টি হয় খালেদা জিয়ার হাত ধরে।

এবার বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেছেন, নির্বাচনে ফেনীর অতীত ইতিহাস সবাই জানে।

সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ইনশাআল্লাহ এখানে বিএনপি জয়লাভ করবে। আমাদের দলের নেত্রীও (খালেদা জিয়া) নির্বাচন করবেন। তিনি এখন সুস্থ আছেন।

নির্বাচন নিয়ে ফেনীতে কোনো চিন্তা নেই।
বুধবার দুপুরে ফেনী শহরের একটি কনভেনশন হলে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, লন্ডনে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যৌথ বিবৃতি দিয়েছিল।

আমরা সেটিতে আস্থা রাখতে চাই যে, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হবে। তবে দেশের বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় তার আগেও নির্বাচন হয়ে যেতে পারে। হয়তো জানুয়ারিতেও হয়ে যেতে পারে। কারণ সুপ্রিম কোর্টে কেয়ারটেকার সরকার নিয়ে একটা মামলা চলমান রয়েছে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *