ঢাকা: বাংলাদেশে এক বছর ধরে নাটক হচ্ছে শুধু সংস্কারের নামে! মব, চাঁদাবাজি, দেশ লুট করে সংস্কার করছে ইউনূস গং।
আর ঐকমত্য কমিশন নেচেই চলেছে তালে তালে। ঐকমত্য কমিশন যা করে যাচ্ছে এতে জাতি বিরক্ত, ঐকমত্য কমিশন সংস্কারের নামে জাতির সাথে তামাশা করছে।
ঐকমত পৃথিবীর কোথাও নাই এ দেশেও নাই, হবেও না,অযথা বৈঠকের নামে অর্থ ও মুল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে।
টাকা মারার ধান্দা করা হচ্ছে চারদিক থেকে।
সহমতে নাকি আনবে এরা। কী কাজ করলো এত মাস ধরে? এখন অবধি জাতীয় নির্বাচনের তারিখটাই ঘোষণা হলো না।
২৪ এর জুলাই এ জঙ্গী হামলায় হাসিনা সরকারের পতন হয়। তারপর থেকে শুরু হয়েছে নাটক।
আরেক জুলাইয়ে এসে ৮১টির মত প্রস্তাবে মতৈক্য প্রতিষ্ঠা সম্ভব হল। কিন্তু তার সবগুলো বাস্তবায়ন করা যাবে কিনা, বাস্তবায়ন করা গেলে বাংলাদেশের কতটা সংস্কার হবে, যেসব কারণে সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা সামনে এসেছে, তার সমাধান মিলবে কি না––এসব হাজারটা প্রশ্ন থেকেই গেল।
একদম প্রহসন চলছে বাংলাদেশে। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ নীতি নির্ধারণী প্রশ্নে আলোচনায় এতগুলো দলের অংশগ্রহণ দেশের আইনসভাও কখনো দেখেনি।
সেই জায়গা থেকে অধিকাংশ দলকে এক টেবিলে এনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠাকে ‘সাফল্য’ হিসেবেই দেখতে চান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এস এম আলী রেজা।
আলী রেজা আবার জুজুর ভয় দেখাচ্ছেন। কমিশন ব্যর্থ হলে সবাই ব্যর্থ হবে বলছেন আলী রীয়াজ।
একমত ছাড়াই দেশ চলেছে। আলী রীয়াজ এর কথায় মনে হচ্ছে ঐকমত্য কমিশনই দেশের বৈধ সরকার। তারাই দেশ চালাচ্ছে।
কথায় বলে না রাখ ঢাক গুড় গুড়, সেটাই হয়েছে। যত গর্জায় তত বর্ষায় না।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জোবাইদা নাসরীনের মতে, রাষ্ট্র সংস্কার বলতে যেসব মৌলিক বিষয়ে পরিবর্তন বোঝায়, এত দল নিয়ে আলোচনা করে সেসব জায়গায় ঐকমত্যে পৌঁছানোর সুযোগই ছিল না। ফলে সংলাপে ‘আড়ম্বর’ যতটা হয়েছে, সাফল্য ‘ততটা আসেনি’।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি আলী রীয়াজ অবশ্য নিজেদের ‘সফল’ বলেই মনে করছেন।
বোকার আনন্দ মনে মনে।
৩১ জুলাইয়ের মধ্যে জাতীয় সনদের আলোচনা শেষ করতে চাওয়ার চেষ্টা করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা সেটাতে সফল হয়েছি রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতার কারণে।”
তিনি জানান, ক্ষেত্রবিশেষে রাজনৈতিক দলগুলো যখন একমত হতে পারেনি, কিংবা সুনির্দিষ্টভাবে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়নি, তখন কমিশনের কাছে দায়িত্ব দিয়েছে।
কমিশন তারপরও আলাপ আলোচনার মধ্য দিয়ে সংশোধিত প্রস্তাব হাজির করেছে। ক্ষেত্রবিশেষে সেগুলো সকলের মতামত নিয়ে গৃহীত হয়েছে।
“এই আলোচনার মধ্য দিয়ে যে সমস্ত বিষয়ে ঐক্যমত তৈরি হয়েছে, সেগুলোর সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবগুলো প্রতিদিনই আমরা দিয়েছি। আজকে বেশ কয়েকটি বিষয় হয়েছে। আমরা আগামীকালের (শুক্রবারের) মধ্যে সেগুলির বিস্তারিত অবশ্যই আপনাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করব।”