ঢাকা: মুহাম্মদ ইউনূসের মুখে পৈশাচিক বিজয়ের হাসি। দেশ বিক্রি করার হাসি। তিনি মনে করছেন শুল্ক কমিয়েছে আমেরিকা, এতেই তাঁর কূটনৈতিক বিজয়।এটাকে কূটনৈতিক বিজয় বলে না।
এক বলে বিনিময়। পা চাটা গোলাম। যেটা শেখ হাসিনা করেননি। করেননি বলেই তাঁর বিরুদ্ধে এত ষড়যন্ত্র হয়েছে।
আমেরিকা আসছে বাংলাদেশের মানবতার করিডোর করার জন্য। আমেরিকা আমাদের এখানে কি মানবতা দেখাবে?
ডক্টর ইউনুস আর জামাতের ষড়যন্ত্র হচ্ছে মানবতার করিডোর ; চট্টগ্রাম বন্দর ; সেন্টমার্টিন আমেরিকা হাতে তুলে দেয়া।
ধ্বংস করলেন মহাজন ইউনূস। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঐতিহাসিক বাণিজ্য চুক্তি বাংলাদেশের জন্য কূটনৈতিক বিজয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এক গভীর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ষড়যন্ত্রের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গোপন চুক্তি করেছে। যা নিয়ে এখন তোলপাড় হচ্ছে বাংলাদেশের রাজনীতি।
আসলে বাংলাদেশের ভবিষ্যতকে আমেরিকার পদতলে সঁপে দিচ্ছেন মুহাম্মদ ইউনূস,এটা শুধু নিজের গদি রক্ষার লোভে।
বাংলাদেশের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একপেশে শর্তাবলি চাপিয়ে দিচ্ছে। আর সেই শর্তাবলি যাতে বাইরে না আসে তার জন্য একটি নন ডিসক্লোজার এগ্রিমেন্ট বা অপ্রাকাশযোগ্য চুক্তিও স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সব মিলিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য দীর্ঘমেয়াদি বিড়ম্বনা শুরু হয়েছে।
রাষ্ট্রের সম্পদ আর জনগণের করের টাকা নিয়ে লুটের উৎসব চলছে। যার পেছনে রয়েছে আন্তর্জাতিক মুনাফালোভী শক্তি এবং দেশীয় কয়েকটি দালাল চক্র, আর তো আছেন ইউনূস।
আওয়ামী লীগের দাবি, জনগণের কোনও মতামত, কোনও সংসদীয় বিতর্ক, এমনকি কোনও গণশুনানি ছাড়াই দেশের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ বন্ধক রাখা হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে।
যা বাংলাদেশকে এক অন্ধকারময় অতীতে নিয়ে যেতে চলেছে।
ইউনূস বলেন, আমরা গর্বের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি ঐতিহাসিক বাণিজ্য চুক্তি অর্জনের জন্য অভিনন্দন জানাই। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক বিজয়।
শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, শুল্ক হার প্রত্যাশিতের চেয়ে ১৭ পয়েন্ট কমিয়ে ২০ শতাংশে নামিয়ে এনে আমাদের আলোচকরা অসাধারণ কৌশলগত দক্ষতা এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষা ও উন্নয়নের প্রতি অটুট প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করেছেন।
ইউনূস বলেন, ফেব্রুয়ারি মাস থেকে তারা নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন এবং শুল্ক, অশুল্ক বাধা ও জাতীয় নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট বিষয়সহ জটিল এক আলোচনার প্রক্রিয়া দক্ষতার সঙ্গে অতিক্রম করেছেন।
তারা যে চুক্তিটি অর্জন করেছেন, তা আমাদের প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা ধরে রেখেছে, বিশ্বের বৃহত্তম ভোক্তা বাজারে প্রবেশাধিকারের সুযোগ বৃদ্ধি করেছে এবং আমাদের মৌলিক জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করেছে।