চট্টগ্রাম: বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি গভীর সংকটের মধ্যে রয়েছে।
এটি আর অস্বীকার করা কোনো উপায় নেই।
বিশেষ করে অনিরপেক্ষ আলী রিয়াজের নেতৃত্বে গঠিত ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’-এর সঙ্গে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর আলোচনার পর, পুরো পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে।
আসলে প্রশ্ন উঠছে, কমিশন কি সত্যিই জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে, না সন্ত্রাসীদের রাজনৈতিক বৈধতা দিয়ে তাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ করে দেশের নিরাপত্তা ও শান্তির প্রতি চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করছে?
ইউপিডিএফ, একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল। পার্বত্য চট্টগ্রামে অত্যাচার, হত্যাকাণ্ড, অপহরণ এবং চাঁদাবাজির মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত।
সেই দলটিকে এখন রাজনৈতিক দল হিসেবে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। দলটির অন্যতম নেতা মাইকেল চাকমা, তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক হত্যাকাণ্ড, মানুষকে অপহরণ করা, চাঁদাবাজি এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে, এখন সেই সন্ত্রাসীই গণতান্ত্রিক শাসনের কথা বলছেন।
মাইকেল চাকমার ইতিহাস কারো অজানা নয়।
মাইকেল চাকমা আত্মগোপনে থাকার পর ৫ আগষ্ট ষড়যন্ত্রের পর একদম পরিষ্কারভাবে বিপ্লবী নেতা সাজার চেষ্টা করছে এবং অনৈতিক ও দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে নানা অন্যায় আবদার করে তা আদায়েও চেষ্টা করে যাচ্ছে।
এখানে একটি বিষয় উল্লেখ করতে হয়, প্রতিষ্ঠার পর থেকে গত ২৭ বছরে বাংলাদেশ সরকারের কোন প্রতিনিধি অফিসিয়ালি ইউপিডিএফ এর সাথে বৈঠক করেনি।
মাইকেল চাকমা হচ্ছে ইউনূসের দালাল।
এখন চাকমার মুখে অনেক বড় বড় গণতন্ত্রের কথা শোনা যাচ্ছে। প্রশ্রয় পেয়ে মাথায় উঠে গেছে এখন।
কোনো অঞ্চলের স্বায়ত্তশাসন চাইলে তারা বিচ্ছিন্নতাবাদী হয়ে যায় না বলে মন্তব্য করেছেন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সংগঠক মাইকেল চাকমা।
তিনি বলেছেন, ‘আমরা সামরিক বাহিনীর নির্যাতন নিরসনে স্বায়ত্তশাসন চেয়েছিলাম। তখন থেকে আমাদের বিচ্ছিন্নতাবাদী ট্যাগ দেওয়া হচ্ছে।’
শুক্রবার (১ আগস্ট ২০২৫) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: পাহাড়-সমতলের জাতিসত্তাসমূহের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব গুণকীর্তন করতে থাকেন।
মাইকেল চাকমা বলেন, ‘ হাসিনা আমলের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১১ দফা গোপন নির্দেশনা এখনও বহাল রাখা হয়েছে।’